পাতা:আদিশূর ও বল্লালসেন.pdf/৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আদিপুর ও বল্লালসেন । 念○ ংশীয় ভূপালগণ ক্ষত্রিয় হইলে বঙ্গদেশে বহু ক্ষত্রিয়ের বাস থাকিস্ত । বঙ্গদেশস্থ ক্ষত্রিয়দিগের মধ্যে ব্রাহ্মণ বৈদ্য এবং কায়স্থদিগের ন্যায় কৌলীন্য প্রথার প্রচলন নাই ; বল্লালের সমযে ইহারা অনেকে বঙ্গদেশে বিদ্যমান থাকিলে বল্লাল নিশ্চয়ই, ইচ্ছাদিগের মধ্যে কোন প্রকার কুলীন অকুলীন বিভাগ করিতেন। কিন্তু ক্ষত্রিয়দিগের মধ্যে বল্লালমতে কৌলীন্য প্রথা না থাকাতে নিশ্চয়ই অনুমিত হইতে পারে যে বল্লালের সহিত ক্ষত্রিয় জাতির কোন সম্পর্ক ছিল না । পক্ষান্তরে সেনবংশীয় নৃপতি দিগের সময়েই বৈদ্য জাতির সমধিক উন্নতি দৃষ্ট হয়। যে সকল বৈদ্য মহাত্মার অলঙ্কার, কাব্য, চিকিৎসা শাস্ত্র প্রভূতিতে গ্রন্থ রচনা করিয়াছেন, তাহদিগের অনেকেই উক্ত সময়ে জন্ম গ্রহণ করিয়া ছিলেন । বৈদ্যগণ সমাজে ও তৎসময় হইতে সমধিক সন্মানশালী হইয়া উঠেন। আদিশূব এবং সেনবংশীয় নৃপতিগণ অম্বষ্ঠ কুলোস্কৃত না হইলে কখনই বৈদ্যদিগের তাদৃশ উন্নতি হইত না । ৩য় । আদিশূরের যজ্ঞ সমাধান করিয়া পঞ্চ বাহ্মণ কান্যকুজে প্রত্যাগত হইলে অন্যান্য ব্রাহ্মণগণ বৃলিয়াছিলেন “তোমরা মগধ পথে গৌড় রাজ্যে গমন করিয়াছ, এবং অযাজ্য যাজন করিয়াছ, অতএব যদি আমাদিগের সহিত পক্তিভোজন ইচ্ছা কর তবে পাপ হইতে নিস্কৃতি লাভ কর” । প্রায়শ্চিত্য ভিন্ন কেহই তাহাদিগকে পুনরায়ু সমাজে প্রবেশ করিতে দিলেননা । এ প্রকার অপমানিত হইয়া তাহাদিগকে