পাতা:আনন্দ-তুফান - প্রিয়নাথ চক্রবর্ত্তি.pdf/১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
সূচনা।

সকলদুর্গতিনাশিনী দুর্গার ‘প্রকৃত পূজা’ বা ‘অর্চ্চনা’ করিতে শিখিবে, ততদিন ‘নিজের কার্য্য’ করণে এমন কি, ‘মনুষ্য’-নাম গ্রহণেও অণুমাত্র সমর্থ হইবে না;—আনন্দময়ীর কৃপায় ‘আনন্দ’ লাভ ত অনেক দূরের কথা।

 মোহ-বিমোহিত আত্মবিস্মৃত এই নরাধম, যদিও সচ্চিদানন্দময়ী প্রাণেশ্বরী দুর্গার প্রায় কোন তত্ত্বই জানে না, এবং যাঁহারা সেই প্রাণারামবিধায়িনী বিশ্বপ্রসবিনী আনন্দময়ীর শ্রীচরণারবিন্দমকরন্দপানে আনন্দ-বিগলিত হইতে পারিয়াছেন, তাঁহাদিগকেও ইহার কোন কথা বলিবার নাই; তথাপি যাঁহারা ‘পরের কার্য্য’ হইতে অবকাশ পাইলেই ‘নিজের কার্য্য’ করিতে ভালবাসেন, দেবী দুর্গতিনাশিনী আনন্দময়ীর কৃপায় যদি তাঁহাদের ‘নিজের কার্য্য’ সিদ্ধি-বিধায়ক একটা কথাও এই ক্ষুদ্র পুস্তিকায় প্রকাশ পাইয়া থাকে তাহাও এ দীনের পক্ষে পরম শ্লাঘার বিষয়, এবং তাহা হইলেই ইহার শ্রেষ্ঠ মানব-শরীর-ধারণ সার্থক হইবে। ইতি।

শ্যামবাজার মিত্র-দেবালয়,কলিকাতা
ভাদ্র, ১৩০০ বঙ্গাব্দ।

আনন্দ-ভিখারী আত্মবিস্মৃত
প্রিয়নাথ।