পাতা:আমতণ্ডূল নৈবেদ্য দিয়া বিষ্ণুপূজা হইতে পারে কি না এতদ্বিষয়ক বিচার.pdf/১৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ১২৯ ] ঘটিয় উঠে, সুতরাং পূর্ব্বোজু বচনের আষান্নপদ সিদ্ধত্যু লের আমান্নবাচক না বলিলে আর উপায়ান্তর নাই এই ভাবিষ - প্রতিবাদী মহাশয়েরা উল্লিখিত বচনের আমান্নপদের ঐরূপ সঙ্কোচ করতঃ ভাবিয়াছেন যে স্বার্থসাধনে অনেক কৃতকার্য্য হইলাম। কিন্তু আক্ষেপের বিষয় এই যে, বচনের সঙ্কোচ করিতে করিতে প্রতিবাদী মহাশয়দের দৃষ্টিও অনেক পরিমাণে সকুচিত হইয়াছে নতুবা সাধারণের দৃষ্টিগোচর বিষয় গুলি ষে তাহদের ন্যায় দূরদর্শিলোকের দৃষ্টিপথের অতীত হয় ইহা অল্প বিস্ময়কর ব্যাপার নহে। এক্ষণে পুরাণবচনের দ্বিবিধ অর্থ উপস্থিত ; প্রথম চিরপ্রচলিত, দ্বিতীয় রাজসভাসদ প্রভৃতি কম্পিত। যেরূপ দৰ্শিত হইল তদনুসারে চিরপ্রচলিত অর্থে কোনও অনর্থ ঘটিতেছে না এবং সমুদয় বচন পরস্পর সম্যক সংলগ্ন হইতেছে ; রাজসভাসদ প্রভৃতি কম্পিত অর্থে চু্যতসংস্কৃতি প্রভৃতি উৎকট উৎকট দোষ ঘটিতেছে এবং ঐ অর্থ সম্যক সংলগ্ন হইতেছে না। এমন স্থলে কোন অর্থ প্রকৃত অর্থ বলিয়া অবলম্বিত হওয়া উচিত তাহা সকলে বিবেচনা করিয়া দেখিবেন, ফল কথা এই, তাহীদের অবলম্বিত অর্থ বচনের অন্তর্গত পদ সমুহ দ্বারা প্রতিপন্ন হওয়া কোনও মতেই সম্ভব নহে । সকলে বিবেচনা করিয়া দেখুন অন্নশদের যথাভূত শক্তিলভ্য অর্থ গ্রহণ করা হইলে শুক্রধান্য-ততুলবিকার বিশেষকে অন্ন বলা যাইতে পারে, স্মার্তভট্টাচার্য্যও মলমাসতত্ত্বে অন্নশদের ঐরপ অবিকল ব্যাখ্যা করিয়াছেঃ শূক্ষধান্যতৃষ্ণুলবিকারবিশেষঃ” অর্থাৎ তণ্ডুল স্ট্র - る*