পাতা:আমার আত্মকথা - বারীন্দ্রকুমার ঘোষ.pdf/৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
গৌরচন্দ্রিকা

কাছে রোনাল্ডসে সাহেব আমার সঙ্গে পরিচয় করবার বাসনা জানান। গগনেন্দ্র ঠাকুর তাঁকে সমবায় ম্যান সনে ভারতীয় চিত্রকলাশালায় নিয়ে আসেন ছবি দেখাবার অছিলায়। সেইখানে আমার সঙ্গে তাঁর দেশের সম্বন্ধে এক ঘণ্টা আলাপ হয়।

 যখন বিজলীতে ‘বোমার যুগের কথা’ বের হতে আরম্ভ হলো তখন ভারতে প্রিন্স অব ওয়েলস্ আসছেন, অশান্ত ভারতকে রাজপুত্র দেখিয়ে শান্ত করবার বিরাট আয়োজন চলছে। সার সুরেন্দ্রনাথ সঞ্জীবনী-সম্পাদক শ্রীকৃষ্ণকুমার মিত্রের দ্বারা আমায় ডেকে পাঠিয়ে অনুরোধ করলেন ‘বোমার কথা’ বন্ধ রাখতে যে পর্যন্ত রাজপুত্র বহাল তবিয়তে বাপ মায়ের কোলে ফিরে না যান। আমি বিজলীর পাঠকদের এমন ভাবে প্রতিশ্রুতি দেখার পর বন্ধ রাখতে নারাজ হওয়ায় চতুরচূড়ামণি সুরেন্দ্রনাথ আমায় রোনাল্ডশে সাহেবের শরণাপন্ন হতে উপদেশ দিলেন এবং খুব সম্ভব ভিতরে ভিতরে কলকাটিটিও টিপে রাখলেন। আমি ডাক পেয়ে একদিন লাটভবনে গিয়ে উপস্থিত হই। বাহিরে অপেক্ষা করবার সময় দেখি সার সুরেন্দ্রনাথ কাছাকাছি ঘুরে বেড়াচ্ছেন। রোনাল্ডসে সাহেবের ঘরে আমার ডাক পড়বার পরই সে ঘর থেকে বেরিয়ে গেলেন ষ্টেট্সম্যানের সম্পাদক জোন্স সাহেব। আমি এই অনুরোধের বিরুদ্ধে রোনাল্ডসে সাহেবকে জানাই; বলি, যে, পাঠকদের প্রতিশ্রুতি দিয়ে এখন আর ওটা বন্ধ করা যায় না। লাট সাহেব হেসে বলেন—“গভর্ণমেণ্ট আপনাকে বন্ধ করতে বাধ্য করছেন না, অনুরোধ করছেন মাত্র।” অগত্যা