পাতা:আমার আত্মকথা - বারীন্দ্রকুমার ঘোষ.pdf/৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
গৌরচন্দ্রিকা

‘বোমার কথা’ বন্ধ হয়ে যায় এবং দেশে বোমার সূত্রপাত ও চণ্ডলীলা আবার হওয়ায় আর তা’ এ পর্য্যন্ত বের হয় নি।

 এর আগে আর একটু ঘটনা ঘটে; আমার বিশ্বাস সার সুরেন্দ্র ও রোনাল্ডসে সাহেবের উদ্যোগী হয়ে এ কাহিনীটি বন্ধ করবার মূলে সেই ব্যাপারটিই হেতুরূপে ছিল। বিজলীতে বোমার যুগের কথা বের হবার সময় আমার কোন ইঞ্জিনীয়ার বন্ধুর মারফৎ ‘ষ্টেট্‌সমান’ আমাকে দশ হাজার টাকা দিতে চান এই কাহিনীর ইংরাজি অনুবাদ তাঁদের কাগজে বার করবার বিনিময়ে। এই সুত্রে পি এন গুহ আমার কাছে আসা যাওয়া করছিলেন। তখন জোন্স সাহেব ষ্টেট্সম্যানের এডিটার। তাঁরা ভারতব্যাপী বিজ্ঞাপন দিয়ে সচিত্র এই কাহিনী বের করবার আয়োজন করছিলেন। আমি প্রথমে রাজি হই, তারপর কয়েকজন দেশপ্রাণ নেতা বিশেষতঃ দেশবন্ধুর অনুরোধে আমার প্রতিশ্রুতি প্রত্যাহার করি। জোন্স সাহেব রেগে বলেছিলেন, “All right, I shall see that it does not see the light of day,”— আমার খুবই বিশ্বাস জোন্স সাহেবের চক্রান্তে ও প্ররোচনায় গভর্ণমেণ্ট আমার কাহিনী বন্ধ করেছিলেন।

 জন্ম থেকে বরোদার জীবন অবধি এ জন্মকথা এখনও বলা হয় নি, এ অংশটুকু সেই সময়ের কাহিনী। তারপর ‘বোমার যুগের কথা’ও বের করবার ইচ্ছা আছে। দেশে বোমার ব্যাধি সংক্রামক হয়েই আজও টিঁকে আছে, হয়তো স্বরাজ স্থাপনা অবধি থাকবে। বোমার জন্মদাতা আমার এতদিন পরে এ সম্বন্ধে