পাতা:আমার জীবন.djvu/৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

6 * আমার জীবন বেড়ায়, তাহা শুনিলে তাহাদের মনে বিষম যন্ত্রণা উপস্থিত হয়, তাহ কেহই নিবারণ করিতে পারে না । বস্তুতঃ সস্তান হইতে মাতাপিতার যেমন নানা প্রকার যন্ত্রণ ভোগ করিতে হয়, মনুষ্যকে এত যন্ত্রণা আর fকছুতেই ভোগ করিতে হয় না । সন্তান কুদস্তান হইলে জীবিত অবস্থাতেই যন্ত্রণ, মরিয়৷ গেলেও যন্ত্রণা । বস্তুতঃ পিতার অপেক্ষী এ বিষয়ে মাতার যন্ত্রণাই বেশী । কিন্তু জগদীশ্বর সদয় হইয়। এ বিষয়ে আমাকে কোন কষ্টই দেন নাই । আমার পুত্রকন্যায় যে কয়েকটি সন্তান হইয়াছিল, তাহার। সকলেই একমত হইয়াছিল । তাহার সকলেই সুন্দর, সচ্চরিত্র, বিদ্বান, দাতা, দয়াবান, ধামিক এবং কখনও গহিত কম করিত না । ইহাদের চরিত্র বিষয়ে আমাকে কোন কষ্ট পাইতে হয় নাই । কিন্তু দপ করিয়া বলা উচিত নহে, দপহারী ভগবান আছেন, সকলি করিতে পারেন । কখন কার অদৃষ্টে কি ঘটিয়া উঠে. তাহা বলা যায় না । অতি দৰ্পে হত: লঙ্কা অতি মানে চ কোরবা: | অতি দানে বলিবদ্ধঃ সর্বমতান্ত গৰ্হিতম্ ॥ অষ্টম রচনা তুমি জীবনের কাস্ত, তুমি আদি তুমি অস্ত, অন্তরাত্মা জানহ সকল । মনে যদি থাকে ছল, হাতে হাতে দাও ফল, ফলদাতা তুমি হে কেবল । কে আর আছে এমন তোমা বিনা অন্ত জন, কে জানিবে মনের বেদন । বিশেষ বলিব কত, জানিতেছ তুমি নাথ, করিও না এতে প্রবঞ্চনা ৷ হে নাথ পতিতপাবন ! হে দয়াময় দীনবন্ধু! তুমি তো আমার মনেই আছ । আমার মনের মধ্যে যখন যে প্রকার ভাৰ উপস্থিত হয়, তোমার অগোচর তো কিছুই নাই। তাহা সকলি তুমি জানিতেছ।