পাতা:আমার বাল্যকথা ও আমার বোম্বাই প্রবাস.pdf/২৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমার বোম্বাই প্রবাস ১৮১ স্থিরীকৃত হয়। প্রতি দশ কিম্ব বার বৎসর অন্তর সিংহরাশির সহিত বৃহস্পতির সমাগম হইলে তাহদের বিবাহের সময় উপস্থিত হয়। উমা সম্মতি দান করিলে পূজারীগণ বিবাহের লগ্ন প্রকাশ করে ও তাহা গ্রামে গ্রামে সমস্ত কণবী জাতির মধ্যে দূত কর্তৃক ঘোষিত হইয়া থাকে । এই বিবাহের দিবস উপস্থিত হইলে কণবী জাতির মধ্যে যত অবিবাহিত কষ্ঠা থাকে তাহদের উদ্বাহক্রিয়৷ সেই একই দিবসে সম্পন্ন হয়। মাসেকের দুগ্ধপোষ্য হইতে যোগ্যবযস্ক কন্যা পর্য্যন্ত সকলেই এক-একটি বরের সহিত পরিণয়স্থত্রে বদ্ধ হয়। এই অবসর চলিয়া গেলে আবার বার বৎসরকাল অপেক্ষা করিতে হয় ; সুতরাং পারত পক্ষে এ সময় কেহ অবহেলা করে না । যদি কারণবশতঃ কোন কস্তার পাত্র না পাওয়া যায় ত পুষ্পরাশির সহিত তাহার নামমাত্র বিবাহ দেওয়া হয়, পর দিবস সেই সকল ফুল কুপে নিক্ষিপ্ত হয়। এইরূপ ক্রিয়া বরের মৃত্যু সমান পরিগণিত হয় এবং তৎপরে সেই কষ্ঠার ‘নাত্রা অর্থাৎ পুনর্ব্বিবাহ হইবার কোন বাধা হয় না। ঈদৃশ আর একটি প্রথার নাম ‘বাহুবর বিবাহ। অর্থাৎ যদি স্বজাতীয় কোন পুরুষ পূর্ব্ব হইতে অঙ্গীকার করে যে, আমি এত টাকা পাইলে এই কন্যার বিবাহের পর আমার কোন দাবী থাকিবে না এবং এই বলিয়া যদি অর্থ গ্রহণ করে তাহ হইলে বিবাহিত কন্যার উপর তাহার কোন অধিকার থাকে না । কস্তাদানের অব্যবহিত পরেই বিবাহবন্ধন হইতে বর কন্যা উভয়েই নিস্কৃতি পায়। ষে স্ত্রী এইরূপে অব্যাহতি পায় তাহার নাত্রা’ অর্থাৎ পুনর্ব্বিবাহ করিবার বাধা নাই। অবিবাহিত স্ত্রীর নাত্রা হইবার বিধি নাই, সুতরাং বিবাহের নির্দিষ্ট কাল ভিন্ন তাহার বিবাহ হইতে পারে না । কিন্তু একবার নামমাত্র বিবাহ দিতে পারিলে পুনর্ব্বিবাহ সন্তবে এবং এইরূপ বিবাহের কোন নিরূপিত সময় নাই, যখন ইচ্ছা দেওয়া যাইতে পারে। ‘বাহুবর’ বিবাহক্রিয়া সম্পন্ন হইবার পর-ক্ষণেই বর স্বকীয় আলয়ে গমন করে । কস্তা পিতৃগৃহে আসিয়া হাতের চুড়ি ফেলিয়া দিয়া স্নান করে, যেন তার স্বামীর মৃত্যু হইয়াছে। পরে সুবিধা হইলে পিতামাতা তাহার নাত্রার ব্যবস্থা করিয়া দেন। মুসলমানদের যেমন নিক, নীচবর্ণ হিন্দুগণের সেইরূপ মাত্রা। নাত্রাতে বিবাহের অনুষ্ঠান পদ্ধতি কিছুই আবশ্যক হয় না, বিবাহের ষ্ঠায় তাহাতে ব্যয়বাহুল্যও নাই । অল্প বয়সে পতিগৃহে গমন করিবার পূর্বেই যে রমণীর বৈধব্য হয় অথবা পূর্ব্বোল্লিখিত প্রকারে নামস্থ বিবাহের পর যে স্ত্রীর পুনর্ব্বিবাহ হয়, তাহার নাত্র অপেক্ষাকৃত আড়ম্বরের সহিত সম্পন্ন হইয়া থাকে। বরের ধুতির অঞ্চল ও কষ্ঠার সাড়ীর অঞ্চলে গাঠ দেওয়া হয়, এবং এইরূপ গ্রন্থিবদ্ধ দম্পতী অশ্বান্ধঢ় হইয়া জনতার মধ্য দিয়া গীত