পাতা:আর্য্য-নারী দ্বিতীয় ভাগ.djvu/২২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অহল্যাবাই । 嗣 Rʻ9 আমাদের পূজ্য। কিন্তু অস্ত্র ধরিয়া। আপনি আমার রাজ্যে আসিলে, অস্ত্র দিয়াই আমি আপনার অভ্যর্থনা করিব। তবে একটি কথা আপনাকে স্মরণ করাইয়া দিতে চাই। আপনি বীর পুরুষ, আমি রমণী। যুদ্ধে হারিলে আমার বিশেষ কোন অসম্মান নাই। কিন্তু আপনি জিতিলে কোন গৌরব নাই, হারিলে লজ্জা ও অপমান যথেষ্ট আছে। এ অবস্থায় যুদ্ধে আপনার কি লাভ, জানি না। যাহা হউক, বিবেচনা করিয়া অগ্রসর হইবেন ।” প্রয়োজন হইলে সমান বা অধিকতরু বল লইয়া শত্রুর সম্মুখীন হওয়া যায়, এরূপ আয়োজন করার সঙ্গে সঙ্গে অন্য উপায়ে শক্রকে, যুদ্ধ হইতে নিবৃত্ত করিবার চেষ্টা,-ইহাই উচ্চ রাজনীতি কৌশল । পাশ্চাত্য সভ্য ও শক্তিশালী জাতিরা আজ এই কৌশল বলেই, আপনাদের মধ্যে অনেক যুদ্ধ ও রক্তপাত নিবারণ করিতেছেন। আর ভারতনারী অহল্যা আপন রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা ও দূরদর্শিতায়, বহুপূর্বেই এই সত্যের প্রতিষ্ঠা করিয়া সফলকাম হইয়া গিয়াছেন। অহল্যা পত্র পাঠাইলেন। অহল্যার শক্তি প্রকৃত পক্ষে কতদূর তাহা না বুঝিয়াই রঘুনাথ নিবৃত্ত হইবেন, এমন गडावना ছিল না । অহল্যাণ্ড এরূপ আশা কখনো করেন নাই । তিনি অক্লান্তভাবে যুদ্ধের আয়োজন করিতে লাগিলেন। যথাসময়ে পেশোয়ার উত্তর আসিল, রঘুনাথের এই অন্যায় যুদ্ধযাত্রা তাহার অনুমোদিত নহে। অহল্যা মলহরের রাজ্যভার