পাতা:আর্য্যদর্শন - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/১৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

o -=--ബ് আষাঢ় ১২৮২। । হইয়া অসংখ্য পথে ধাবিত হইতেছে এবং কালে সভ্যতার প্রভাবে পরাকাষ্ঠী প্রাপ্ত হইবেক। অতএব স্পষ্টই প্রতি ধর্ম্মনীতি | অন্যত্র সেরূপ সম্ভবে না। মানবজাতি | বুদ্ধি ও জ্ঞানে সর্ব্বাপেক্ষ শ্রেষ্ঠ। তৎপ্রযুক্ত মানবসমাজের সমবেদনার প্রবৃত্তির কার্য্য| পরম্পর অতীব সুশৃঙ্খল ও নিয়মবদ্ধ সকলেই সত্য সরলতা দয়া প্রভৃতিকে সনাতন ধর্ম্ম এবং চৌর্য্য, পরনিন্দ | প্রবঞ্চনা প্রভৃতিকে অধর্ম্ম বলিয়া স্বীকার | করেন ; তথাপি কার্য্যতঃ রিশেষ বিশেষ স্থল লইয়া বিবাদ ঘটিয়া থাকে। একজন হিন্দু বলিবেন ব্রহ্মহত্যার স্থলে সত্যবল অকর্ত্তব্য। একজন যেগুটি খৃষ্টান পন্ন হইতেছে যে সদস্য জ্ঞান সমবেদনার | বলিবেন, উদ্দেশ্য যদি ভাল হয়, তবে ফল ও মানবজাতির একটি স্বভাবসিদ্ধ ধর্ম্ম। অবস্থাভেদে, পুর্ব্বসংস্কারভেদে ও ধর্ম্মশাস্ত্রের শাসনভেদে ভিন্ন ভিন্ন জাতির মধ্যে সদসদ জ্ঞানের নানা বৈলক্ষণ্য ও বৈপরীত্যভাব দৃষ্ট হয়। খৃষ্টান, মুম্বলমাণ, হিন্দু ও বৌদ্ধদিগের মধ্যে ভিন্ন প্রকার | ধর্ম্মনীতি প্রচলিত। আবার এক-ধর্ম্মাক্রান্ত ভিন্ন ভিন্ন সম্প দায়ের মধ্যে ধর্ম্মনীতির প্রভেদ দেখা যায়। কিন্তু এই दिवा रूपॆनरंशत्र शरा है:शत्र श्रीश्च রোপিত রহিয়াছে, তাহা হুক্ষদৃষ্টির অগোচর লহে। সত্য, ন্যায়পরতা, সরলতা, মৈত্রী প্রভৃতিকে সকলেই ধর্ম্ম বলেন এবং চৌর্য্য, ঈষা, প্রতারণা, নিন্দা প্রভৃতি যে অধর্ম্ম তাহতে মতভেদ নাই। ৷ বাহ প্রকৃত ধর্ম্ম বা অধর্ম্ম তাহ নিত্য ও অপরবর্তনীয়,দেশ কাল পাত্রভেদ ভিন্ন ভিন্ন আকার ধারণ করেন। যাহা প্রকৃত ধর্ম্ম বা অধর্ম্ম নয়, তাহ অবস্থাভেদে }পরিবর্তিত হয় তাহ দেশবিশেষে, | যুগবিশেষের ও সম্প্রদাবিশেষের উপ| cपांशैौ भांब ; उांशं कथम फ़ेिब्रहांग्रैौ ७ 1সর্ব্ববাসিন্মত হইতে পারেনা। যদিও মনে এক থানা ও পেটে আর এক থানা করা দুষ্য নহে। এক জন মুষলমাণ বলিবেন, যে অধর্ম্মাক্রান্ত, সে বধার্হ, কোনরূপে দয়াহঁ নহে। অনেক বিজ্ঞক্ষান্য লোকে তর্ক করেন, যে প্রাণসঙ্কট স্থলে ধনীর কিঞ্চিৎ আহরণ করা অনুচিত নহে ইত্যাদি। এখন প্রশ্ন হইতেছে যে বিশেষ বিশেষ স্থলে যে এইরূপ মতভেদ হইবে, তাহার মীমাংসার্থ কোন উপায় আছে কিনা। এমন কোন নিয়ম আছে কিনা যদার উক্তপ্রকার মতবিরোধের সামঞ্জস্য হইতে পারে ? বেন্থাম-শিষ্যেরা বলেন, হিতবাদের নিয়ম অনুসারে চলিলে, সকল বিবাদের মীমাংসা হইতে পারে। হত্যাকারী ব্রাহ্মণকে মিথ্যা বলিয়া রক্ষা-করাতে সমাজের হিত নাই। জেযুয়িটেৰ আদেশ মত মিথ্যা বলিয়া সং উদেশ্য সাধন । করিতে গেলে, সকলে সেই দৃষ্টাস্তের অনুসরণ করিতে পারে। এইরূপে মিথ্যার প্রাচুর্ভাব হইলে সমাজের অধো, গতি হইবেক, তাহারা ধর্ম্মান্ধ যবনকে বলিবেন, যে ভূমণ্ডলে নানা ধর্ম্ম প্রচ- | সকলে যদি