পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (তৃতীয় বর্ষ - প্রথম খণ্ড).pdf/৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈশাখ, ১৩১৯ ৷৷ काचौन-0वजछ * ・ ●。 ক্রর, কুচক্রী, ইন্দ্রিয়পরায়ণ বলিয়া জান। মহাভারত পড়িয়াছ ত ? কৃষ্ণ লইয়াই মহাভারত । কৃষ্ণই খণ্ড ভারতকে মহাভারতে পরিণত এবং একছত্র সম্রাটের অধীন করিয়া ধর্ম্মরাজ্য সংস্থাপন করিয়াছিলেন । আমি ‘রৈবতকে? ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আদ্য লীলা বর্ণনা করিয়াছি।” আমি বলিলাম, “আপনার ‘রৈবতকের” কৃষ্ণ দ্বিতীয় বিসমার্ক। সেইরূপ রাজনীতিবিশারদ ও সুচতুর।” নবীন বাবু বলিলেন, “কৃষ্ণ চরিত্রের এক দিক দেখিয়া তুমি ওরূপ বিবেচনা করিয়াছ। . কৃষ্ণ বাস্তবিকই আদর্শ পুরুষ। তঁহার চরিত্র চিত্রিত করিতে পারি, সেরূপ যোগ্যতা আমার নাই। তবে কৃষ্ণচরিত্র আমি যেরূপ ভাবে বুঝিতে চেষ্টা করিতেছি, তাহা আমার পূর্বে আর কেহই করেন নাই। ইহাই আমার শ্লাঘা।” বাস্তবিক এ সম্বন্ধে বঙ্কিম বাবু এবং নবীন বাবুর মধ্যে কে অগ্রণী, তাহার বিচার একবার হইয়াছিল। কিন্তু সুমীমাংসা হয় নাই । কারণ তখন বঙ্কিম বাবু জীবিত ছিলেন না। ‘রৈবতক’-প্রসঙ্গ এই স্থানেই শেষ হইল। তাহার পর নবীন বাবু তাহার নূতন মহাকাব্য ( যাহা তখন পাণ্ডুলিপির আকারে ছিল ) “কুরুক্ষেত্রের” কথা পাড়িলেন। পাণ্ডুলিপির খাতাটি দেখিলাম, অতি বৃহৎ । নবীন বাবু বলিলেন, “এই কুরুক্ষেত্রে” আমি কৃষ্ণচরিত্র পরিস্ফাট করিতে চেষ্টা করিয়াছি। কৃষ্ণের মহত্ব কোথায়, কিসে তিনি বড়-কিসে তিনি আদর্শ মানব তাহার পরিচয় “কুরুক্ষেত্রে’ পাইবে । ছাপা হইলেই তোমাকে তৎক্ষণাৎ ‘কুরুক্ষেত্র’ পাঠাইয়া দিব।” আরম্ভ কেমন হইয়াছে পড়িতেছি, শুন। বলিয়া পড়িলেন ; নীরেন্দ্র প্রতিম নীল নির্ম্মল আকাশ, শারতের শেষ মেঘে উদ্ধে তরঙ্গিত।-- নীরব, নিম্পন্দ, ভীত । নিম্নে তরঙ্গিত চতুরঙ্গে, রণরঙ্গে ভীম উদ্বেলিত, গৰ্জিতেছে। রক্তসিন্ধু মহাভারতের মহাক্ষেত্র কুরুক্ষেত্র ! সান্ধ্য রবি করে দেখাইছে। রক্ত মেঘে প্রতিবিম্ব তার, নীরব নিম্পন্দ ভৗত বিশ্ব চরাচরে। দুই প্রান্তে সংখ্যাতীত সজ্জিত শিবির, তরঙ্গিত 'বেলা যেন রণ-পয়েধির। ইত্যাদি ।