পাতা:ইন্দুপ্রভা নাটক - গিরিশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

エb" ইন্দু প্রভ নাটক । কাকেও সর্থী বলে সম্বোধন কত্তেম । আর ওদের বিবাহ নিয়ে কত প্রকার আমোদ কত্তেম । কিন্তু এখন কি আর সে দিন আছে ! যে খানে যাই, সেই স্থানই সেই যুবরাজ-বিরহে শূন্যময় বোধ হয় ; কারো পদশব্দ শুনলে তিনি আসছেন বলে ভ্রম হয় । সখি, মদনের শরকে লোকে পুষ্পশর বলে বটে, কিন্তু আমার বিবেচনায় সে শাণিত লৌহশর অপেক্ষাও ভীক্ষ। শাণিত শরে বিদ্ধ হলে একবারে প্রাণ পরিত্যাগ করে, কিন্তু দুরন্ত রতিপতির শরে দিবা রাত্র বনদগ্ধ-হরিণীর মত অস্থির হতে হয় । ( সাগরিকার পুনঃ প্রবেশ।) সাগ । হ্যা গা ! তোমরা কি কেউ অণজ সঙ্গীত শালায় যাবে না ? আমি আর সেখানে এক্লাটি কতক্ষণ বসে থাকব ? দেখ দেখি, আর কি একটুও বেলা আছে ? এ কি ? রাজনন্দিনি, তুমি আজ এত বিরস বদনে বসে রয়েছ কেন ভাই ? তা মিছে ভাবনাতে মনকে কষ্ট দিলে কি হবে ? চল এখন আমরা যাই । আমি সেই নতুন গান্থটি আজ সব শিখেছি। মধু। কি গান্ত ভাই ? কৈ গাওনা, শুনি । সাগ । ( উপবেশন ও গীত । )— রাগিণী বি বাট খাম্বা জ—তাল মধ্যমান । শুনিয়ে বঁাশী সই প্রাণ যে রহেন। মন কাদে প্রবোধ মানে না ৷ হে সখি, তুমি বল গিয়ে তারে, করে ধরে । একে মরি মনাগুনে সে যেন দহেন ৷ বtশরী এতগুণ, সখি, ধরে, তা জানিনে। প্রেম ফঁাদে পড়ে মোর যাতনা সহেন ৷