পাতা:ইন্দুপ্রভা নাটক - গিরিশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ইন্দুপ্রভা নাটক । સ્વ'૭ কোন দুষ্ট দৈত্য তস্করবেশে আমার হৃদয় সরোবরের কণক পদ্মটি হরণ কর্যে নিয়ে গেল, এর বিন্দু বিসর্গও কোনমতে জামৃতে পাত্তেম না ! মন্ত্রী। ধর্ম্মাবতার, মায়াবী কলিরদ্বারা পদ্মাবতী সতী হৃত হলে পরম শিবভক্ত রাজা ইন্দ্রনীল রায় কি তাকে আর পুনঃপ্রাপ্ত হন নাই ? তা আপনি রাজা । মন্ত্রি, আমাকে আর বৃথা প্রবোধ দেও কেন ? আমার অদৃষ্টে কি আর প্রিয়াসমাগম লাভ হবে । আহা ! আমি যে দিবস যুদ্ধার্থে বহির্গত হই, তখন জীবিতেশ্বরী আমাকে কত অনুরোধ ও মিনতি করেছিলেন ! আমি যদি সে সময় তার কথা শুনৃতেম, তা হলে কি আর এরূপ বিপদ ঘটতো ? হায়! কেনই বা তখন আমার সে মতিভ্রম হয়ে ছিল !——( দীর্ঘনিশ্বাস । ) বস। আজ্ঞে স্থা, তার সন্দেহ কি । মৃগেন্দ্র স্বস্থানে থাকলে কণর সাধ্য সিংহীকে হরণ করে । তবে কি না, যে ট বিধির লিপি, তার ত অন্যথা হয় না । মন্ত্রী । দেব, আপনি কিঞ্চিৎ ধৈর্য্যাবলম্বন কল্পে আমরা সকলেই পরমাপ্যায়িত হই । দেখুন এই সংসার-সাগরে ধৈর্য্যই আমাদের সেতু স্বরূপ । ধৈর্য্যাবলম্বন ব্যতিরেকে মানব জাতি কোন মতেই জীবন ধারণ কতে পারে না । নিয়ত সুখ বা দুঃখের অধীন কেউ হয় না, পর্য্যায়ক্রমে সকলকেই সুখ দুঃখের ভাগী হতে হয় । সেই জন্যে সাধু ব্যক্তিরা সুখে একবারে বিমোহিত, কিম্বা দুঃখে একবারে হতাশ হন না—সুখও ভোগ করেন এবং দুঃখও বহন করেন।