পাতা:ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের গ্রন্থাবলী.djvu/১০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বীজের নিজের গুণ উষ্মভাব ধরে। কফ-পিত্তকারী বটে বায়ু নাশ করে। মদগন্ধী, মধু স্বাস্ত্র পীকে কটু খেলে। বায়ু, কফ, কাপদোষ নাশে এর তেলে । কত মতে বিলাতে হতেছে প্রয়োজন। যেখানে সেখানে দেখি তিদির ওজন ॥ আগুন হয়েছে দর বিলাতের খাই । দিশা হয়ে তিসি আর আমরা না পাই ॥ মসিনার ক্ষুদ্র বীজে যে দিয়েছে রস । একবার মুক্তকণ্ঠে গাও তার যশ । যে বীজের তরু এই অখিল সংসার। মনে কর সেই বীজ কিরূপ প্রকার ॥ ৰমুমতী রসবতী র্যাহার কৃপায়। হায় হায়, কি কহিব কত রস তায় ? সে বীজের তেলগুণ কহে সাধা কার ? রবি, শশী, তারা আদি সালে হয় যার ॥ নয়ন প্রফুল্ল হয় গেলে পরে মাঠে। পত্ত্বিপূর্ণ নানা শোভা স্বভাবের হাটে । শরদ পড়িল সরি সারফুল ছেড়ে । সরিষার ফুল তাঁর শোভা নিল কেড়ে। মনোলোভা কিৰা শোভা ছটা তার জলে । দামিনীর হার ৰেন জলদের গলে ॥ "ফুল ফল অতি ক্ষুদ্র তার মধ্যে রস । আলোকে পুলক দিয়া রখিয়াছে যশ ॥ সরিষার সার অংশে ব্যঞ্জনের তার। অসারে গাভীর স্তনে দুগ্ধের সঞ্চার। মার গুণে রজনীর অন্ধকার যায় । কৃষকের ক্ষেত্রে তাহ শীতের কৃপায় ৷ শর্কোল আদি করি নানা রঙ ধরে । কতরূপে মানবের উপকার করে ॥ বীজের অশেষ গুণ নিদানে প্রকাশ। কফ, বাত, ক্রিমি, কুষ্ঠ, ব্ৰণ করে নাশ ॥ গুল্ম আর কণ্ডুরোগ দুই করে শেষ। বচনেতে গুণ সব কি কব বিশেষ । речи чыa বাঁচির ভিতরে রস আলোর আধার। O , "তেল" নামে নাম যার হয়েছে প্রচার । শরীর হতেছে বৃক্ষ থেয়ে আর মেথে। । অন্ধকারে আলো দেয় প্রদীপেতে থেকে ॥ অবিকল গুণ ধরে ঘুতের সমান। সমভাবে বাচাতেছে সকলের প্রাণ ॥ যোগী, ভোগী, রোগী রাজা দীন হীন জন সকলেরই করিতেছে মঙ্গলসাধন । বীজের ভিতরে রস নাম যার স্নেহ। এ গ্রেহের গৃঢ় ভাব নাহি বুঝে কেহ ॥ lo ওরে নর! পাইয়াছ মনোহর দেহ। মনেরে পাষাণ করি বার কর স্নেহ ॥ } সরিষার স্নেহ দেখে দ্রব্য হও সবে। স্নেহ যদি না থাকিল মিছে দেহ,তবে ॥ কর কর প্রণিধান মানব-সকল । দেখ কিবা ঈশ্বরের স্নেহের কৌশল। পরম্পর স্নেহ-রসে সবে ৰূবে বশ । সর্ষপে দিলেন তাই মেহরূপ রস ॥ ফুলে ফলে সুশোভিত হইয়াছে তিল । হেরে অাখি ফিরাতে না পারি একতিল ॥ অতি ছোট বীজ গুলি রসের সদন । বাত অর্শ হরে করে বল-বিতরণ ॥ সৌরভের লোল ফুলোল নাম যার। তিলের তেলেতে হয় জনম তাহার ॥ বায়ুহর হিতকর ত্বকে আর চুলে। ফুলে যে ফুলোল মাথে মরে সেই ফুলে। তিলফুল রূপের আভাস দেহে ধরি। তিলোত্তম নাম পেলে স্বৰ্গ-বিদ্যাধরী ॥ : এ ফুলের শ্লোভা যে দেখেছে একবার। রূপের গরব যেন সে করে না আর ॥ হায় রে শিশির তোর কি লিখিব যশ ? কালগুণে অপরূপ কাঠে হয় রস ॥ o পরিপূর্ণ স্বধাসিন্ধু খেজুরের কাঠে। কাঠ ফেটে উঠে রস, যত কাঠ কাটে।