পাতা:ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের গ্রন্থাবলী.djvu/১০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

، نه " দেবের দুলভ ধন জীরণের ঘড়া। এক বিন্দু পান করি বেঁচে উঠে মড় ॥ না থাকে বিরদভাব রস পেটে পড়ে। বিন্দু পান, যদি পান প্রাণ পান ধড়ে। সে জলের ভাল ধৰ্ম্ম মৰ্ম্ম তায় গৃঢ়। স্বভাবের ক্রিয়া-জালে জালে হয় গুড় । আমাদের ভাগ্যদোষে মিছে করি দ্বেষ। বিজ্ঞাতীয় রাজা হয়ে নষ্ট করে দেশ ॥ গোভ ভারী আবকারী যুক্ত করি কর। এমন খেজুর-রসে বসাইল কর। - মাশুল উগুল করে রসে আর গুড়ে । পরে বুঝি গঙ্গাজলে কর দেবে যুড়ে । মূল্য দিয়া তবু খাই কর পরিমাণে। একচেটে না করিলে তবে বঁচি প্রাণে ॥ মাদকতা-শক্তি নাই পেটভরে খেলে। বিবাদী হইল তায় ফলনার ছেলে ॥ গুণ দেখে অভিধানকর্তা গুণধাম । খেজুর গাছের দিলে, ‘হারপ্রিয়া’ নাম। রসের যশের কথা না হয় প্রকাশ।. দেহ করে বলবান মেহ করে নাশ ॥ বায়ু হরে, মল-মূত্র করে পরিষ্কার। রসন পবিত্র করে সুধীর সুতার ॥ গুড়ের নিগূঢ় গুণ কি কহিব আর ? স্থবাসে আমোদ করে মধুর আগার। নুতন খেজুরে গুড়ে দেবতার সক । নাম শুনে জল সরে নোলা লক্লক্ ॥ এ প্রকার সুথসেব্য আর নাকি আছে। নলিনীর মধু কোথা নলেনের কাছে ? মাতে মন মুখদ পয়ড়া" গুড় পেলে। অরুচির রুচি হয় লুচি দিয়ে খেলে। ‘ভেজালের পাটালি যে খায় একবার। কখনো সে ভুলিতে পারে না তার তার ॥ নূতন নলেন গুড়ে মগু মনোহর। পায়স পীযুষ সম অতি প্রেমকর। । ] f ৮ঈশ্বরচন্দ্রগুপ্তের গ্রন্থাবলী। - - এ গুড়ে পিষ্টক হয় বিবিধ প্রকার। কাঁচা পাকা দুই চলে সুখের আহার ॥ যায়ু পিত্ত হরে করে মূত্রের শোধন। চিনি আর মিছরীর করিছে স্বজন। মিছারি চিনির গুণ সবাই বিদিত। বিশেষেতে লেখা তাই না হয় উচিত ॥ দেখহ খেজুর গাছ কত গুণ ধরে। গলা কেটে রক্ত দিয়া উপকার করে ॥ যে তাহীর মাথা কাটে তারে দেয় প্রাণ । খেজুরের মাথি নানা গুণেব নিধান। কাঠের ভিতরে রেখে সুমধুব জল । মানবে শিখান প্রভূ রুণা-কৌশল। শিব সহ সদাশিব ছাড়িয়া কৈলাস । অবনীতে অধিষ্ঠিত, এই নয় মাস ॥ ফল মূল রস খন গাধ যত আছে। নিশাযোগে নিদ্রা যান, শ্ৰীফলের গাছে। ঘন ঘন হিমবৃষ্টি লাহে স্নান করি । উলঙ্গ হইল ইক্ষু বস্ত্র পরিহরি। স্বভাবে হইল তায় মধুর সঞ্চার। পাপে পাপে রস ভরা মিঃ তার তার ॥ খণ্ডে পাপ খায় যেই থও এক পাপ। বাহু তুলে স্বৰ্গপুরে নাচে তার বাপ ॥ , অন্নপূর্ণ বিশ্বেশ্বর মনে ভালবাসি। আকেরে দিলেন স্থান পুণ্যধাম কণী ॥ কি বুঝিবে মৰ্ম্ম গৃঢ় যত সব মূঢ় । বানে চুকে বৃষারূঢ় জাল দেন গুড়। শিব-অঙ্গ-অভ পেয়ে শোভা বাড়ে তার। কাশী নামে নাম খ্যাত ধবল আষর । শিবের সৃজিত বস্তু নাম হলো চিনি । সাহেবেরা শিরে ধরে ভালরূপে চিনি ॥ মহৎ কে আছে আর মাকের মতন ? তাছারে অমৃত দেয় যে করে পীড়ন ॥ যত পার তত খাও দেও দেও পেটে । স্বখেতে ভোজন কর পাপ কেটে কেটে ॥ (*