পাতা:ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের গ্রন্থাবলী.djvu/১১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

o $e & ৮ঈশ্বরচন্দ্রজঃগুপ্তের গ্রন্থাবলী ॥৬ [ সুখময় রসে করে, ত্রিদোষ হরণ। মুখের জড়তাছারী কে আর এমন ? বাহিরে গৌরাঙ্গ তার ভিতরেতে শাদী। 'শাক-আলু হন যার সহোদর দাদা ॥ বয়সে কনিষ্ঠ হয়ে জ্যেষ্ঠ গুণ তার । কঁচা পাকা দিই মুখে মুখের আহার ॥ ভাজা পোড়া ভাতে আর ব্যঞ্জনে নিয়োগ । যাতে খাব তাতে পাব সুখের সুত্তোগ। পাকে লঘু গুণকর দোষ বড় মাই। গুণ দেখে চিনিকন নাম দিলে তাই ৷ কমল কমলারূপে অবনীতে এসে । শুভদাত্রী অধিষ্ঠাত্রী রাঙ্গালের দেশে । শ্ৰীমতীর আবির্ভাবে মুখ অবিশ্রাম। শ্ৰীহট্ট হইল তাই ছিলেটের নাম। শ্বেতকান্তি রাঙামুখ টুপিধারী যারা। টেবিলেতে বেষ্ট নিয়া টেষ্ট পান তারা। একবার তুষ্ট যেই কমলার তারে। অন্ত ফল তার নাহি ভাল লাগে তারে । বায় পিত্ত নাশ করে মধুর অম্বল। অরুচির রুচিকর মুখের সম্বল ৷ আমড়ার চামড়ার স্ববর্ণের শোভা। সৌরভে আমেদি পেয়ে কথা কয় বোবা ৷ সুমধুর মিষ্ট তার গুণ কব কত ? ' রমনা মসিক হয় রস পায় যত । ইচ্ছা ছয় স্বভাবের ছাইপেড়ে কাটি। এমন অমড়। ফলে কেন দিলে অভ্যাটি । কিঞ্চিৎ অজীর্ণ-দোষ আমাতক ধরে। বল করে তৃপ্তি করে পিত্ত্ব কক্ষ হরে ৷ চালতা পেকেছে গাছে হইয়া সরল। রূপে তার গন্ধে করে মোহিত মানস । আমাদের নিকটে অাদর অতিশয়। পূৰ্ব্বদেশী লোকে করে যম বোলে ভয় ॥ কাচ বেলা মুখপ্রিয় নাহি হয় তত। পাকার আস্বাদ-সুথ মুখে কব কত ?’ নূতন নোলেন গুড়ে অম্বল যে খায়। প্লসের সাগরে তার মুখ ভেসে যায় ৷ তারে তারে টেক্‌ গিলে খেতে লাগে খাস। রসন রসিক হয় গন্ধে মাতে নাসা । টক বটে কষা বটে অথচ মধুর। স্বভাবে শীতল করে পিত্ত কফ দূর। কিঞ্চিৎ অজীর্ণকারী পাকে হয় গুরু । মুখশুদ্ধিকর অতি স্বাস্থ কল্পতরু ৷ চালিতার অম্বল যে জন নাহি খায় । ধিক ধিক ধিক তার ধিক রসনায়। পেকে হলে কৎবেল সুগন্ধের ধাম । চিরপাকী দধিফল গন্ধফল নাম । কাচা বেলা বড় কিছু হিতকর নয়। মধুর অম্বল হয় পাকার সমঘ । কতই আমোদ বাড়ে করিভে ভোজন। শ্বাস বমি হরে করে ত্রিদোষ হরণ। শ্রমজাত তৃষা কৃশ হয় এই বেলে। . বদন পবিত্র হয় তারে তবে গেলে । e ইহার পাতার গুণ কি লিখিব আর ? পাতাপোড়া বদে নাশে রক্ত-অতিসার । বৃক্ষের উপবে হেরে নানা কুল কুল ৷ লোভাকুল হয়ে মন নাহি পায় কুল। পাকালোভী পাক খায় কঁচা খায় কঁচা । কুলেতে অকুল লোভ বীচি নাই বাছা। পবনের পুত্র প্রায় অভিলাষ ভোগে । & উদর ভবনে ছাড়ে লবণের যোগে। রিপুর পঞ্চমে যার নারিকুলে কুল। সমাদরে খায় সেই নারিকুলে কুল ৷ বিশেষ সময়ে পেলে কুলের আচার। কোন ক্রমে নাহি থাকে কুলেয় আচার। গুণেতে বদর বায়ুfপত্তের-নাশক। । মধুর শীতল আর মলের রেচক। কুলের মহিমা কথা কহিবার নয়। আচারে ঋঙ্কচি হার করে বলক্ষয় । ༽༤།