পাতা:ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের গ্রন্থাবলী.djvu/৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

f t ويسا अमांद्र ভোগের ধন হলো না আমার । এর চেয়ে মনোহ্লখ কিছু নাই আর ॥ সুধা দিয়ে সুধালে না ক্ষুধা ছিল যবে। হাসিমুখে আসি প্রাণ বাকামুখ কবে ? মাথার ঘায়েতে তুমি হয়েছ পাগল। দায়ে পোড়ে গায়ে পোড়ে করিছ কেঁদেল ॥ ঢোল মেরে গোল কোরে ছাড়িতেছ বোল। গোলেমালে আমি কেন দিব হরিবোল ? হরিবোল বলিবার সময় এ বটে। পরিণামে হরিনাম শাস্ত্রে এই রটে ॥ সেতো বড় সোজা নয় কঠিন ব্যাপার। মোচন করিতে হয় মনের বিকার । পর-প্রেম-স্ট্রীযুষের স্বাদ যেই পায়। সার ফেলে ছার প্রেম সে কি আর চায় ? হাবাতের কপালেতে সে মুখ কি হবে ? হাসিমুখে আসি প্রাণ বাকীমুখ কবে ? ( মনের পেদ মনেই আমার ) হরি হরি মরি মরি করি বিবেচনা । হায় হায়ুবিধাতার এ কি বিড়ম্বন । সুধাময় সরলতা ভাব নাহি ধরে । যুবতী যৌবন-মদে অভিমানে মরে। ভাবে মনে যৌবনের হবে না সংহার। কালের কর্তব্য যাহা করে না বিচার ॥ আহা আহা কারে কব মনের এ ধোকা । গাছ পাকা থাস্ অাবে ধরিয়াছে পোক ৷ সাট মেরে কাট হোরে করে কত ঠাট। ভোলে না প্রেমীর প্রেমে খোলে,ন কপাট । সময়েতে নাহি করে প্রিয় ব্যবহার। রহিল মনের খেদ মনেই আমার । - কারে বলি আর বল কারে বলি আর । রহিল মনের খেদ মনেই আমার । যতদিন থাকে তার যৌবনের রস। ততদিন নাহি হয় পুরুষের বশ । {} \ vঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের গ্রন্থাবলী। রসবোধ নাহি হয় রসের সময় । সরস অন্তরে কভু করে না প্রণয়। তখন তাহার মন এমনি কঠিন । , কোনমতে নাহি হয় প্রেমের অধীন ॥ যুবতী যৌবনে যদি পীরিতি জানিতে ? পুরুষের মনে তবে কি সুখ হইতো ? সে সুখ কেমন মুখ জানাব কি বোলে ? যেতেম আপন}ভাবে আপনিই গোলে। বুকের বিষয় নহে মুখে বলিবার। রহিল মনের খেদ মনেই আমার ॥ যৌবন-জলধি-জল শুকায় যখন । তখন সরল হয় রমণীর মন ৷ সময়ে এ ভাব হলে হষ্টত যেমন । অসময়ে ততপানি হয় কি তেমন ? স্বভাবের দোষ এই দোষ দিব করি ? রহিল মনের খেদ মনেই আমার । কারে বলি আর বল কারে বলি অব ? রহিল মনের খেদ মনেই আমার ॥ & কহিলাম যত কথা হয় কি না হয় । মনে মনে বুঝে দেখ মিছে কিছু নয়। বল বল যত পারো বোলে লও রাগে । তোমার ভূতের ঢেলা গায়ে নাহি লাগে । আমার সকল কথা ফুরাইল প্রিয়ে ! মিছে কেন চড় খাই রাড় ঘেটাইয়ে ? এখনো হলো না প্রাণ সরল প্রণয় । সমান স্বভাবে গেল সকল সময় ৷ আর ছার পীরিতের সাধ কিছু নাই। ঈশ্বর জুড়ান যদি তবেই জুড়াই । গুপ্ত প্রেম গুপ্ত থাক ফুটিব না আর । - রহিল মনের খেদ মনেই আমায়। কারে বলি আর বল র্কারে বলি মাতৃ ? রহিল মনের খেদ মনেই মামাব।