পাতা:ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের জীবনচরিত ও কবিত্ব.djvu/৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬৬ ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের জীবনচরিত। এই সংগ্রহের প্রথম খণ্ডে পাঠক ঈশ্বর গুপ্ত প্রণীত কতকগুলি নৈতিক ও পারমার্থিক বিষয়ক কবিতা পাইবেন। অনেকের পক্ষে ঐ গুলি নীরস বলিয়া বোধ হইবে, কিন্তু যদি পাঠক ঈশ্বর গুপ্তকে বুঝিতে চাহেন, তবে সে গুলি মনোযোগ পূৰ্ব্বক পাঠ করিবেন। দেখিবেন সে গুলি , ফরমায়েশি কবিতা নহে। কবির আন্তরিক কথা তাহাতে আছে। অনেক গুলির মধ্যে ঐ কয়ট বাছিয়া দিয়াছি—আর বেশী দিলে রসিক বাঙ্গালী পাঠকের বিরক্তিকর হইয়। উঠিবে। ইহা বলিলেই যথেষ্ট হইবে, যে পরমার্থ বিষয়ে ঈশ্বরচন্দ্র গদ্যে পদ্যে যত লিথিয়াছেন, এত আর কোন বিষয়েই বোধ হয় লিখেন নাই । এ গ্রন্থ পদ্যসংগ্রহ বলিয়া, আমরা তাহার গদ্য কিছুই উদ্ধত করি নাই, কিন্তু সে গদ্য পড়িয়া বোধ হয়, যে পদ্য অপেক্ষাও বুঝি গদ্যে তাহার মনের ভাব আরও সুস্পষ্ট । এই সকল গদ্য পদ্যে প্রণিধান করিয়া দেখিলে, আমরা বুঝিতে পারিব, যে ঈশ্বর গুপ্তের ধৰ্ম্ম, একটা কৃত্রিম ভান ছিল না। ঈশ্বরে তার আন্তরিক ভক্তি ছিল । তিনি মদ্যপ হউন, বিলাসী হউন, কোন হবিষাসী নামাবলীধারিতে সেরূপ আন্তরিক ঈশ্বরে ভক্তি দেখিতে পাই না। সাধারণ ঈশ্বরবাদী বা ঈশ্বরভক্তের মস্ত তিনি ঈশ্বরবাদী ও ষ্ট্র ধরভক্ত ছিলেন না । তিনি ঈশ্বরকে নিকটে দেখিতেন, যেন প্রত্যক্ষ দেখিতেন, ষেন মুখামুখী হইয়া কথা কহিতেন। আপনাকে যথার্থ ঈশ্বরের পুত্র, ঈশ্বরকে আপনার সাক্ষাৎ মূৰ্ত্তিমান পিঙ্গ