পাতা:উপদেশ (প্রতাপচন্দ্র মজুমদার).djvu/১০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একজন আছেন । (বক্তৃতা ) সোমবার, ১৫ই মাঘ, ১৮০০ শক ; ২৭শে জানুয়ারি, ১৮৭৯ খৃষ্টাব্দ । ভাই সকল ! আর একজন লোকের কুটী কথা তোমাদিগকে শুনিতে হইবে। আমার ইচ্ছা হয়, রাস্তার লোক যাদের লোকে তুই বলে কথা কয়, যাদের লোকে ঘৃণা করে, তাহাদিগকে কিছু বলি। র্যাহারা শাল রুমাল গায় দিয়া বসিয়া আছেন, আমি তাহাদিগকে সেই চক্ষে দেখিব, যে চক্ষে বড় মানুষকে কাঙ্গালের মত দেখায়। র্যাদের মনের ভিতরে দুর্গন্ধ, ভিতরে পাপের নর্দমা, র্যাহারা পরস্ত্রীকে মার মত শুদ্ধ চক্ষে দেখিতে পারেন না, তাহাদিগকে কাঙ্গাল বলিব না ত কি বলিব ? এখন আমি সকলকে কাঙ্গাল দেখি। যাহাদের গায়ে ঘেঁস লাগিলে পাপ হয় ( ক্ষম করিতে হইবে, আমিও ধাঙ্গড়ের মধ্যে একজন ) তাহাদিগকে দুঃখী বলিব না ত কি বলিব ? এখন আসল কথা বলি। প্রায় ১৫ বৎসর হইল, একজন বন্ধুর বাড়ীতে যাই, তাহার বাড়ী গঙ্গাতীরে। বসিয়া আছি, এমন সময় শুনিতে পাইলাম, একটা স্ত্রীলোক কঁদিছে, শুনিয়া প্রাণটা কেমন করিয়া উঠিল। ক্রমে সেই স্ত্রীলোকটী গঙ্গাতীরের দিকে আসিল। এমনি বিনিয়ে বিনিয়ে কাদছে যে, শুনিলে পাষাণও বিগলিত হয় । স্ত্রীট একটী মরা ছেলে কোলে করিয়া আসিল ! যত গঙ্গায় নামিতে লাগিল, তত আরও কাদিতে লাগিল, তখনও ছেলে কোলে আছে। ক্রমে কোমর জলে নামিয়া ছেলেটিকে ফেলিয়া দিল, এবং ঢেউ দিতে লাগিল, যত ভেসে