পাতা:উপদেশ (প্রতাপচন্দ্র মজুমদার).djvu/১২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শবদ-মাহাত্ম্য । $o তাহারই ধৰ্ম্মে অধিকার হয়। অদ্য শুনিয়াছ, যেমন বক্তার আবশ্বক, তেমনি শ্রোতারও আবশ্যক ; আমি বলি, শ্রোতার বরং অধিক আবশ্যক । আকাশ হইতে জল পড়িয়া যদি অরণ্যে বা মরুভূমিতে যায়, তাহ হইলে কি ফল জন্মে ? অতএব এই যে শব্দরূপ শ্রাবণ মাসের জলধারা, যাহা শাস্ত্রে, আচার্য্যের কথাতে, পরিব্রাজকের জিহাতে, ইহাকে ধারণ করে কে ? শ্রোতার শ্রবণরূপ সরোবরে যখন এই জল পড়ে, তখনই ধৰ্ম্মের উদ্যানে ফল হয়, ফুল হয়, ঐশ্বৰ্য্য হয়। বক্তৃতা করিতে অনেকেই পারে, কিন্তু শ্রবণ করিয়া কথার ভাবরস পান করা সকলের হয় না । মুনিদিগের মান অধিক, চিরকালই আছে। মুনি ত কথা কহেন না ? ধৰ্ম্ম তাহার কোথায় ? তিনি ক্রমাগত বসিয়া শব্দসিন্ধু পান করেন, শব্দ রোমন্থন করেন, চৰ্ব্বণ করেন। মৃগ কি গো যেমন আহার করিয়া, চৰ্ব্বণ করিয়া রক্তমাংসাদি লাভ করে, ধৰ্ম্মের মেষ যিনি, তিনি নানা শাস্ত্র, নানা আচাৰ্য্য হইতে ফুল, ফল, পল্লব সংগ্ৰহ করিয়া মুনি হইয়া রোমন্থন করেন। দেখিয়াছ ত, মৃগ কি গো যখন চৰ্ব্বণ করে, তখন অন্য দিকে তাকায় না ; স্থির হইয়া চৰ্ব্বণ করে। যিনি আহত শ্রোতা, মনোনীত শ্রোতা, “কেন না জানিও শ্রোতাও প্রেরিত আছে” তিনি শব্দ লইয়া সেইরূপ মত্ত হন। বীণা বংশী বাজিতেছে, তুরী ভেরী শব্দ নিনাদিত হইতেছে, পক্ষিকণ্ঠ হইতে আওয়াজ হইতেছে, তিনি এই সমস্ত লইয়া চৰ্ব্বণ করিয়া রক্তমাংস স্বাস্থ্যে পরিণত করেন। আমিও একজন সকলের মত শ্রোতা । শুনিবার শাস্ত্রে আমার অধিক সন্মান । যখন শুনিতে হইবে, হৃদয়কে সরোবর করিয়া শব্দের জল ইহাতে ধরিতে হইবে। শব্দ আসিবে কোথা হইতে ? ঈশ্বরের কি মুখ আছে ? নিরাকার নিৰ্ব্বিকার পরমেশ্বরের কি মুখ কল্পনা করিতে পারি? যদি মুখ না থাকে, তাহা হইলে শব্দ হয় কিরূপে ? ‘ওরে ھاA