পাতা:উপদেশ (প্রতাপচন্দ্র মজুমদার).djvu/১৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধৰ্ম্মসমাজ । - @ @ মানুষের সঙ্গে সমবেত করিয়া এক বিচিত্র জগৎ প্রসব করেন। সে স্বষ্টির নাম কি ? বাহিরের উপকরণে যে স্বষ্টি হয়, তাহার নাম জড়স্থষ্টি । চন্দ্র স্বৰ্য্য লইয়া যে সৌরজগৎ রচিত হয়, তাহার নাম জড়স্থষ্টি ; কিন্তু মানুষের ভিতর নিরাকার ধৰ্ম্ম প্রবেশ করিয়া বাহিরে যে আকার গ্রহণ করেন, তার নাম কি ? তার নাম ধৰ্ম্মসমাজ । মণ্ডলী বল, আর পরিবারই বল, আধ্যাত্মিক মিলন বল, আর গির্জাই বল, ইংরাজীতে বল, আর পাঞ্জাবীতেই বল, যাহাতে বলিতে হয়, তাহাতেই বল ; মূলকথা এই, ধৰ্ম্মের মূল বদ্ধ হয় সমাজে। সমাজের ভিতরে ধৰ্ম্মের শক্তিতে এক মানুষের প্রকৃতি অপর মানুষকে টানে ; একজনের পাশ্বে পাঁচজন আসিয়া সমাগত হয় ; হইয়া অপূর্ব আকার যাহা নিরাকার প্রসব করেন, তাহাই হয়। সমাজের ভিতরে এই যে টান, ইহা কিসের টান ? ঈশার শিষ্যকে যদি বল, হে পিটার ! হে জন ! হে পল! কি শক্তিতে ঐ অল্পবয়স্ক স্বত্রধরের চারিদিকে একত্রিত হইয়াছ ? উত্তর নাই। কেমন একটা টান আছে যে, পিতা মাতা, স্ত্রী, আত্মীয়, এমন কি মৃত হইয়াছে যে জ্ঞাতি, তাহাকে পৰ্য্যন্ত ত্যাগ করিয়া মেষপাল যেমন মনের গতিতে একদিকে ধাবিত হইতে থাকে, তেমনি সকলে ঈশার পশ্চাতে পশ্চাতে যাইতেছেন। হে নিত্যানন্দ ! হে গদাধর ! হে হরিদাস! কি বলিয়া গৌরের সঙ্গে বেড়াও ? ভক্তির অর্থ কি ? তাহা কি বলিতে পার ? না । এমনি এক প্রকার টান জন্মিয়াছে যে, এক জালে যেমন সমস্বভাব মৎস্ত ধরা পড়িয়াছে। দশ জনে এক জনের চারিদিকে ঘুরিতেছে। প্রকৃতি-নিহিত ধৰ্ম্ম যখন বাহিরে আকার গ্রহণ করেন, ভিতরে নিহিত প্রত্যাদেশ-শক্তি যখন দশজনকে আনিয়া নদীতীরে, পৰ্ব্বতে পর্য্যন্ত লইয়া বেড়ায়, তখন লোকে যে বলে, উপদেবতা স্বন্ধে বসিলে কি যে হয়, কোথায় যে লইয়া যায়, কিছুরই ঠিকানা নাই,