পাতা:উপদেশ (প্রতাপচন্দ্র মজুমদার).djvu/১৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধৰ্ম্মসমাজ । ১লা জ্যৈষ্ঠ, ১৮০৪ শক ; ১৪ই মে, ১৮৮২ খৃষ্টাব্দ। যদি ব্রহ্মের দর্শন পাই, তবে তাহাকে জিজ্ঞাসা করি, তিনি চিন্ময় নিরাকার হইয়া কিরূপে জড়ময় জগৎ রচনা করিলেন। সৌন্দৰ্য্যময়ের সহিত যদি সাক্ষাৎ হয়, তবে একবার চরণ ধরিয়া জিজ্ঞাসা করি, তিনি আধ্যাত্মিক সৌন্দৰ্য্য কিরূপে পুষ্পের পত্রে চিত্র করিলেন ও বালকের হাস্তে নিহিত করিলেন। তিনি যে কত গুণধারী, তা আর কি বলিব ? চিন্ময় ব্ৰহ্ম গুণরাশি এমনি করিয়া ভৌতিক জগতে ঢালিয়া দিলেন যে, ভাবিলে আশ্চৰ্য্যান্বিত হইতে হয়। ঈশ্বরতত্ত্ব কি এই যে, চিন্ময় বস্তুকে বাহিরে গঠন দিতে পারা ? যোগ, তপস্যা, প্রেম, পুণ্য, জ্ঞান, এই সমস্ত ভাবকে একত্র করিয়া বাহিরের উপকরণে মিশ্রিত করিলে যে নিরাকার হইতে সাকার হয়, তাহাই কি তবে ব্ৰহ্মতত্ত্ব ? ধৰ্ম্মতত্ত্ব কি এই, বল ; যদি বলিতে পার, তবে বল। ইহাই যদি হয়, মঙ্গলময় ঈশ্বরের যদি এই লীলা হয়, তার ভাবের গভীরতা হইতে যদি তিনি বাহ স্বষ্টিকে উৎপন্ন করিয়া থাকেন, তবে ইহাও সত্য যে, নিরাকার ধৰ্ম্মের ভিতর হইতে বাহিরে এক অপূৰ্ব্ব গৃহ রচিত হইতে পারে। ধৰ্ম্ম নিরাকার সামগ্রী ; প্রেমে, শান্তিতে ও সত্যেতে ধৰ্ম্ম বিরচিত। সকলই ভাবময়, চিন্ময়, আত্মিক, জ্যোতিৰ্ম্ময়, এই ধৰ্ম্মের ভিতরে। এই ধৰ্ম্ম যখন মানুষের প্রকৃতিতে প্রবেশ করেন, নরদেহে নরাআয় যখন প্রবেশ করেন, তখন করেন কি ? চিন্ময়মূৰ্ত্তি, আধ্যাত্মিক । গাম্ভীৰ্য্য, আপনার নিরাকার ভাব উপকরণ, একত্র করিয়া মানুষকে ।