৫৩ - উপদেশ । সেই কথাই যথার্থ হইয়া থাকে। ঠিক যেন উপদেবতা স্কন্ধে বসে ; আর বলিতে পার না, এমন কোন শক্তি মানুষকে লইয়া ঘোরায় । দেখ, নিরাকার শক্তি মনের ভিতরে প্রবেশ করিয়া, ব্যাধ যেমন পক্ষীকে ধরে, কাচপোকা যেমন অন্য কীটকে ধরে, তেমনি মানবাত্মাকে ধরিয়া থাকেন। কীটের ক্ষমতা থাকে না যে পলাইয়া যায়। চিন্ময়ী নিরাকার শক্তি এই রূপে কতকগুলি নরদেহ নর-আত্মা লইয়া মণ্ডলী রচনা করেন । যে দেশে এই মহাশক্তি অবতীর্ণ হইয়াছিলেন, সেইখানেই দল হইয়াছিল। কুলবধুরা পৰ্য্যন্ত লজ্জা পরিত্যাগ করিয়া সেই স্বর্গের রচনার অঙ্গীভূত হইয়াছিলেন । ঘরের স্ত্রী ও বাজারের কুলট পর্য্যন্ত বিচিত্র দৈবশক্তিতে আকৃষ্ট হইয়া পবিত্র পরিবার রচনা করিল। যদি জিজ্ঞাসা করা যায়, গৌরাঙ্গের চারিদিকে এত লোক যে ছটাছুটি করে, সে কি তার মুখ লাবণ্য দেখিয়া ? পাণ্ডিত্য দেখিয়া কি নিমাই পণ্ডিতের সঙ্গে সঙ্গে ঘুরিতেছে ? উচ্চ ব্রাহ্মণবংশীয় বলিয়া কি তাহাতে মোহিত হইয়াছে ? শরীরের সঙ্গে যোগ নয়, উ হার মন টানিয়াছে, ভিতরে কি আছে, তারই এত আকর্ষণ। মনে করি, চলিয়া যাই, গিয়া গৃহকাৰ্য্য করি, কিন্তু কোন ক্রমেই পারি না । মন বন্দী হইয়াছে। এই যে পরমাশ্চৰ্য্য শক্তি, ষদ্বারা নরনারী একত্র হয়, ইহা লইয়াই ধৰ্ম্মবিধান। এই যে আমাদিগের ধৰ্ম্মবিধান, ইহার আর কিছু বলিতে পারি, আর না পারি, এ বিষয়ে সন্দেহ নাই যে, কোন এক শক্তি আসিয়া আমাদের দশজনকে আক্রমণ করিয়া একত্র করিয়াছে। আমাদের যে মণ্ডলী, এই যে সমাজ, ইহার ভিত্তি সংস্থাপন হইয়াছে, অন্য কিছু বলিতে পারি আর না পারি, একথা নিঃসংশয় বলিতে পারি। আমাকে বলিতে পার যে, তোমার শক্তি আছে, অনায়াসে অন্যত্র গিয়া পন্থ দেখিতে পার, এখান হইতে সংসারে চলিয়া