পাতা:উপদেশ (প্রতাপচন্দ্র মজুমদার).djvu/১৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যুগধৰ্ম্ম-ভাগবত । ( মাঘোৎসব ) সায়ংকাল, রবিবার, ১২ই মাঘ, ১৮০৭ শক ; ২৪শে জানুয়ারি, ১৮৮৬ খৃষ্ঠাব । হে সাধকবংশ, হে অমৃতের পুত্ৰগণ, যুগধৰ্ম্ম-ভাগবত শ্রবণ কর। কিন্তু আমি সেই মধুর ভারতী কোথায় পাইব, যাহা উচ্চারণ না করিলে এই সকল দেব লীলা বর্ণনা হয় না ? সেই যিনি স্বয়ং সকল বিষ্ঠার সার, নিরাকার সরস্বতী, মহাবাগদেবী,—র্তাহারই দিকে নয়ন উত্তোলন করি। তিনি এই কর্কশকণ্ঠে অবতীর্ণ হউন, তাহার কথা লোকদিগকে বলিয়া ধন্ত হই । হে সাধক-মণ্ডলী, যদিও ছাপান্ন বৎসর হইল, এই মহাধৰ্ম্মের সূচনা হইয়াছে, তথাপি ইহার সঙ্গে আমাদিগের যোগ ত্রিশ বৎসরের অধিক নয়। এই ত্রিশ বৎসরের মধ্যে দশ বার বৎসর ধৰ্ম্ম শৈশবের অন্মুট অবস্থায় ছিল। তখন মনের ভাব মনেই লীন হইত, বাহিরে বা কাৰ্য্যে প্রকাশ পাইত না । আঠার বৎসরের অধিক হইবেন, এই ভাগবতের প্রথম অধ্যায় লিখিত হইতে আরম্ভ হইয়াছে । আজ সকলের সম্মুখে দণ্ডায়মান হইয়া, যখন জীবন-পথের এই গত আঠার বৎসরের ঘটনা সকল আলোচনা করি, বোধ হয়, যেন অশীতি বৎসরের কি শত বৎসরের অধিক হইয়াছে। বোধ হয়, যেন আমরা কোন প্রাচীন কালে বৰ্ত্তমান ছিলাম, এবং কত বংশ আসিল ও চলিয়া গেল, কত ইতিহাস লিখিত হইল ও অদৃশু হইয়া পড়িল, এই সমস্ত চক্ষে দর্শন করিলাম। ইহার মধ্যে কত ঘটনা ঋতুর ন্যায় বা ঝড়ের ন্যায় જે