পাতা:উপদেশ (প্রতাপচন্দ্র মজুমদার).djvu/১৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চরিত্র । তাহার প্রভাব ও তেজে লোকসমক্ষে যে জীবন কাটান যায়, তাহাকে আলোকিত করে ? এই গভীর ধৰ্ম্ম কি গুহায় নিহিত ? তাহ কি বাহিরে প্রকাশ পায় না ? ইহা কি ধৰ্ম্মবিধান-স্বীকারেই পরিসমাপ্ত ? বাহিরে ইহার প্রমাণ ও প্রকাশ কি অব্যাহত নহে ? আমরা যতদূর আলোচনা করিয়াছি, তাহাতে দেখিতে পাই, ধৰ্ম্মের দুইটি ভাগ ; একটি লৌকিক, অন্যটি আধ্যাত্মিক। এই লৌকিক ধৰ্ম্ম ও অধ্যাত্ম ধৰ্ম্ম মধ্যে এত পার্থক্য হইয়া পড়িয়াছে যে, এই উভয়কে সম্মিলিত করা একান্ত অসম্ভব বলিয়া আপাততঃ মনে হয় । বাহিরের অবস্থাতে ইহার সম্মিলন ও ঐক্য সম্ভবতীত মনে হইলেও, ইহার সামঞ্জস্তা কি হইবে না ? অবশ্যই হইবে। যদি না হয়, মনে করিতে হইবে, সংসারে ভগবান বাস করেন না। কেবল আমাদের উদযোগ ও চীৎকারেই কি ধৰ্ম্ম পরিসমাপ্ত ? পৃথিবীর কত স্থানে এইরূপ অসার ধৰ্ম্মের আড়ম্বর ও কোলাহল উঠিল ; এই ভারতেরও কত স্থানে কত বাহ আড়ম্বরের চূড়ান্ত হইল। কালের বাতাসে এই সমস্তই ছাইয়ের মত উড়িয়া গিয়াছে ; আত্মাকে স্পর্শ করিয়া, আত্মাকে অধিকার করিয়া অধ্যাত্মসম্পদরূপে পরিণত হয় নাই । ইতিহাসের যেমন দুইটী অংশ—এক অংশ ধৰ্ম্ম, আর এক অংশ জাগতিক ব্যাপার, জীবনেরও তেমনি দুইটি বিভাগ—একটি ধৰ্ম্মজীবন, অপরটি সাংসারিক জীবন। এই তত্ত্ব পৃথিবীর সর্বত্র, এমন কি গ্রামে, পল্লীতে পর্য্যন্ত প্রচারিত হইয়াছে। সকলের অন্তরের ধারণা এই, এ দুই চিরকাল দুই রকম থাকিবে ; ধৰ্ম্মে ও সংসারে মানুষ এক হইবে না ; অন্তর ও বাহিরের গতি কখনও এক দিকে হইবে না, আত্মার গভীরতার বিকাশ লৌকিক ব্যবহারে পরিলক্ষিত হইবে না। আমরা এই দুইয়ের