পাতা:উপদেশ (প্রতাপচন্দ্র মজুমদার).djvu/২১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অসাধারণত্ব | రిఁ লেন । এই শব্দে চীন, তাতার, জাপান পৰ্যন্ত বিকম্পিত হইল। বল, ইহা জড়ে চৈতন্য দান কি না ? • . অতএব বলি, জীবনে পরমার্থের চক্র সংযোগ কর। যেমন দুইট কাটির সংযোগে তেজ, অগ্নি, বিদ্যুৎ উৎপন্ন হইয়া কত অদ্ভূত কাৰ্য্য সম্পাদন করে, তেমনি তোমাদের শক্তি এই প্রকার ফুটিবে যে, তাহ দ্বারা তোমাদের জীবনে অসম্ভব ব্যাপার সঙ্ঘটিত হইবে । স্বার্থের হাত হইতে শক্তিকে পরমার্থের হস্তে সমর্পণ কর । একজনের শক্তি শত জনের শক্তি হইবে । শত জনের শক্তি এক জনের শক্তিতে সমাগত হইবে, এবং ইহা হইলেই তোমাদের জীবন অসাধারণ হইবে ; এই সমাজ অসাধারণ সমাজ হইবে ; এই ধৰ্ম্ম অসাধারণ ধৰ্ম্মরূপে সমস্ত জগৎকে অধিকার করিবে। আমি ইহা বলি না যে, তোমরা ইহাতে বড় মানুষ হইবে । কিন্তু ইহা বলি যে, ইহাতে তোমাদের জীবন অসাধারণ হইবে, লোকালয় ব্রহ্মময় হইবে ; প্রত্যেকের জীবন দেবনিঃশ্বাসে পূর্ণ হইয়৷ দেবালোকসম্পন্ন হইবে। আবারও বলি, অসাধারণ ধৰ্ম্মের আশ্রয় লইয়াছ, অসাধারণ লক্ষ্য স্থির করিয়াছ, অসাধারণ সমাজে আসিয়াছ, অসাধারণ জীবন লাভ করিবে বলিয়া সঙ্কল্প করিয়াছ, স্থতরাং এই ব্ৰত সাধনে আগ্রহাতিশয় প্রকাশ কর। সকল অনর্থ ও মৃত্যুর মূল, স্বার্থকে জানিও। অতএব হে পরমার্থপ্রয়াসী বন্ধুগণ, সম্পূর্ণ নিঃস্বার্থ হইয়া সৰ্ব্বশক্তিমান অনন্ত পরমেশ্বরের শরণাগত হও । হে অনন্ত, হে অসাধারণ কাৰ্য্যকারী, এই জগৎ জড়ময় ন চৈতন্যময় ? তোমার অনন্ত শক্তি এই জগতে এমনি সংযুক্ত রহিয়াছে যে, এই জগতের প্রতি তাকাইলে সহসা কিছুই জড়ময় মনে হয় না। হে সৰ্ব্বশক্তিমান, যে শক্তিতে এই জগৎকে চালাও, আমাদিগকে কি সেই