পাতা:উপদেশ (প্রতাপচন্দ্র মজুমদার).djvu/২২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ද් සං উপদেশ । প্রত্যেক সম্প্রদায়ের ধৰ্ম্মমন্দিরের প্রতি বিশেষ আকর্ষণ। ইহাতে লোকের এত আকর্ষণ থাকে যে, এইজন্য প্রাণ দিতেও লোকে ভয় করে না ও কুষ্ঠিত হয় না । জান তো সে দিন টালার একটী সামান্ত মসজিদ রক্ষার জন্ত কত রক্তপাত হইল। আমাদেরও মন্দির ছিল। এই মনিদরের পরিণাম কি হইবে তাহা ভবিষ্যতের গর্ভে নিহিত । যাহা হউক, মন্দির একটী বাহিরের বিষয় । মানুষের ধৰ্ম্মভাব যদি প্রবল হয়, যথার্থ ধৰ্ম্মপিপাসাতে কোন ধৰ্ম্মমণ্ডলীর জীবন যদি উন্নত হয়, তবে মন্দির নিৰ্ম্মিত হওয়া অসম্ভব কিছুই নহে। ঈশ্বরের পূজামন্দির সর্বাগ্রে জীবনে রচিত হয়, তৎপরে উহার বাহ আকার পৃথিবীর ভূমিতে দেখা যায় মাত্র। পূজার গৃহ হইলেই যে ধৰ্ম্ম হইল তাহাও নহে। অনেক মন্দির দেবালয় ডাকাতের আডডা হয়, নৰ্ত্তক নৰ্ত্তকীর অভিনয়ক্ষেত্র হয় । তোমরা কি জান না, সলিমানের ধৰ্ম্মমন্দির হইতে ঈশা কত দুরাচারী দস্থ্যকে তাড়াইয়া দিয়াছিলেন ? - অতএব কেবল মন্দির হইলেই হইল তাহা নহে । কতকগুলি লোক । চাই, যাহারা ধৰ্ম্মের জন্য প্রাণ দিৰে। ধৰ্ম্মমণ্ডলীতে বিশেষ লোকের স্থান অনেকে স্বীকার করিতে প্রস্তুত নহেন। সকলের সমান স্থান ইহার অভিলাষ করেন। পৌরোহিত্যের প্রতি অনেকে বিরক্ত । নানা কারণে এই বিরক্তির হেতুও আছে। কিন্তু অন্তপক্ষে যথেষ্ট বলিবার অবকাশ আছে যে, এই প্রকার কতকগুলি লোক নিতান্ত আবশু্যক, র্যাহাদিগকে মণ্ডলীর আসনে সাধারণে ভিন্ন স্থান দিন আর না দিন, র্যাহাদের স্থান স্বভাবতঃ ভিন্ন হইবেই । ইহা সম্ভব নহৈ যে, কোন ধৰ্ম্মসম্প্রদায় মধ্যে সমস্ত লোক আত্মত্যাগী, বৈরাগী এবং ধৰ্ম্মের জন্ত প্রাণ, মন, শক্তি, কাৰ্য্য, সৰ্ব্বস্ব অর্পণ করিবে। মণ্ডলীর সমস্ত লোক পবিত্ৰচরিত্র, সাধু