পরলোক । রবিবার, ২৩শে ফান্তুন, ১৮১৯ শক ; ৬ই মার্চ, ১৮৯৮ খ্রীঃ । । মানুষ যখন ঘর শূন্ত করিয়া শ্মশানভূমি আশ্রয় করে, সেই শ্মশানযাত্র হইতে আবীর কোথায় চলিয়া যায় ? মানুষ কোমল শয্যা পরিত্যাগ করিয়া চিতার কাঠ-শয্যা গ্রহণ করিল, তথা হইতে আবার কোন অজনিত দেশে চলিয়া গেল ? শরীর ও গাত্রাবরণ সকল খসিয়া পড়িল, অগ্নিই আচ্ছাদন হইল, এখন রহিল কি ও সমুদয় শেষ হইল, রঙ্গিল কিছু ধূম ও ভস্ম। তখন কোন জ্যোতিৰ্ম্ময় আত্মা বস্তু রহিল কি না বল। এই মানুষ ছিল, তাহার কত উৎসাহ উদ্যম ছিল, সংসারে সুখ স্বাস্থ্যের কতই ব্যবস্থা ছিল, সুখ দুঃখ কত বুঝিত, কত যত্নে শরীর রক্ষা করিত, একটি কণ্টক বিদ্ধ হইলে কত যন্ত্রণ বোধ করিত, রোগের যাতনাতে কত অধীর হইত, এখন দেখ শ্মশানের অগ্নি তাহার সকল স্থখ দুঃখ গ্রাস করিল । যে মানুষ দেখিতে পাইতে, চির পরিচিত বলিয়া জানিতে, এখন আর তাহাকে দেখিতে পাও না, চির পরিচিত লোকের মত, আত্মীয় বন্ধুর মত তাহার সঙ্গে ব্যবহার করিতে পারিতেছ না । সেই মানুষ আর নাই। কোন মানুষ রহিল কি না, স্থল্ম জ্যোতিৰ্ম্ময় আত্মা রহিল কি না, একবার চিন্তা কর । যে মানুষ রহিল তাহার বাস- । ভূমি কোথায় তাহাও চিন্তার বিষয় । - চোখের সন্মুখে কাল লোক ছিল, আজ সুমেরু কুমেরু অনুসন্ধান কর, আর তাহার দেখা পাইবে না। কাল যাহার জন্য এত চেষ্টা,