পাতা:উপদেশ (প্রতাপচন্দ্র মজুমদার).djvu/২৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধৰ্ম্ম ও নীতি Vo) পোত নিমগ্ন হইবার সময়, হে ঈশ্বর । রক্ষা কর বলিয়া উৰ্দ্ধ-হস্তে ব্যাকুল অন্তরে র্তাহাদিগকে প্রার্থনা করিতে দেখা গিয়াছে । অতএব ঈশ্বরের সত্ত-জ্ঞান স্বাভাবিক ও সাৰ্ব্বভৌমিক মনুষ্যাত্মা মাত্রেই এই জ্ঞানের বীজ নিহিত রহিয়াছে । আমি আছি এই জ্ঞান যেমন স্বতঃসিদ্ধ, উহাও তদ্রুপ । ঈশ্বর নিরাকার এইক্ষণ জিজ্ঞাস্য এই ঈশ্বর সাকার, না, নিরাকার ? কতগুলি লোকে বলেন ঈশ্বর সাকার । কতগুলি লোকে নিরাকার বলেন । আর্য্যদিগের অতি সন্মান্ত ধৰ্ম্মশাস্ত্র বেদোপনিষদ, কি খ্ৰীষ্টিয়ানদিগের ধৰ্ম্মপুস্তক বাইবেল, কি মুসলমানদিগের কোরাণ, জ্ঞানী ও সভ্য জাতির যত প্রধান ধৰ্ম্ম শাস্ত্র উচ্চৈঃস্বরে এক বাক্য হইয়া বলিতেছে ঈশ্বর নিরাকার । শ্বেতাশ্বতর উপনিষদে উল্লিখিত হইয়াছে, “অপানি পাদে যবনে গ্রহীতা, পশ্বতাচক্ষুঃ সশৃণোত্যকর্ণঃ” র্তাহার হস্ত নাই তথাপি তিনি গ্রহণ করেন, পদ নাই গমন করেন, চক্ষুঃ নাই দর্শন করেন, কর্ণ নাই শ্রবণ করেন। মুণ্ডকোপনিষদে আছে, “ন চক্ষুষ গৃহতে নাপি বাচ নান্তৈ দেবৈ স্তপসা কৰ্ম্মণা বা জ্ঞান প্রসাদেন বিশুদ্ধসত্ত্ব স্ততস্তুতং নিষ্কলং ধ্যায়মানঃ ” তিনি চক্ষুর গ্রাহ্য নহেন, বাক্যের গ্রাহ্য নহেন, যজ্ঞাদি কৰ্ম্মদ্বারা তাহাকে প্রাপ্ত হওয়া যায় না, জ্ঞান প্রসাদে