পাতা:উপদেশ (প্রতাপচন্দ্র মজুমদার).djvu/২৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 উপদেশ শুদ্ধচিত্ত ব্যক্তি ধ্যানযুক্ত হইয়া নিরবয়ব ব্রহ্মকে উপলব্ধি করেন । তলবকার উপনিষদে উক্ত হইয়াছে, “যদু বাচ। না ভূদিতং, যেন বাগভুছিতে ; তদেব ব্রহ্ম ত্বং বিদ্ধি, নেদং যদিদমুপাসতে ” বাক্য দ্বারা যিনি বচনীয় নহেন, যিনি বাক্যের স্রষ্টা, তাহাকেই ঈশ্বর বলিয়া জান, লোকে যে সকল পরিমিত বস্তুর উপাসনা করে তাহা কখন ঈশ্বর নহে ! এই প্রকার শাস্ত্রের বহুবিধ প্রমাণ প্রয়োগ করা যাইতে পারে যে ঈশ্বর ইন্দ্রিয় গ্রাহ্য সাকার পদার্থ নন ! তবে বর্তমান হিন্দুসমাজে বাহুল্যরূপে সাকার উপাসনা কেন প্রবৰ্ত্তিত হইল, হিন্দুরা ঈশ্বরকে সাকার কেন বলেন ? তাহার কারণ আছে। নিরাকার উপাসনা সম্পূর্ণ আধ্যাত্মিক ৷ পূৰ্ব্বতন ঋষির নিরাকার ঈশ্বরের উপাসন করিতেন । পুরাণতন্ত্রাদিতে উল্লিখিত দেবদেবীকে তাহার গ্রাহ্য করিতেন না । কোন কোন ঋষি তাহাদের কাহাকে ক্রোধে অভিসম্পাৎ, কাহাকে বা পদাঘাত পর্যন্ত করিয়াছেন । দেবতারাও ঋষিদিগের ভয়ে কম্পিত হইতেন । পুরাণাদি শাস্ত্রের আলোচনায় ইহার অনেক প্রমাণ প্রাপ্ত হওয়া যায় । সেই সকল দেবতা যদি ঈশ্বর হইতেন, ধৰ্ম্মপরায়ণ জ্ঞানী ঋষিরা কখন তাহাদের সঙ্গে এই প্রকার ব্যবহার করিতেন না ; দেবতারাও তাহাদিগকে ভয় করিয়া চলিতেন না । সকলেই জানেন ঋষিগণ