পাতা:উপদেশ (প্রতাপচন্দ্র মজুমদার).djvu/২৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

So - উপদেশ বলিতে কে ? আমিতো শরীর নই, মৃত্যুর পরে এই শরীর পড়িয়া থাকিবে, হস্ত পদ আছে অচল, চক্ষু কৰ্ণ আছে দেখিতে শুনিতে পায় না, কেন না তখন শরীরের কর্তা আমি অর্থাৎ আত্মা যে করে, দেখে শুনে সে থাকিবে না । কেহ কি বলিতে পার, আত্মার কেমন আকার ? কখনই নয়। তবে দেখ আত্ম শরীর নয়, সাকার বস্তু নয়, নিরাকার হইলেও দেখ, আত্মাকে সকলেই বিশ্বাস করে । আমি বলিতেছি, তুমি শুনিতেছ, অথচ আমি নাই, তুমি নাই, অর্থাৎ আত্মা নাই ইহা কে বলিতে পারে ঐ নিরাকার হইলেও সকলে আত্মাকে স্পষ্ট উপলব্ধি করিতেছে । অমুকের ভাল বুদ্ধি, তাহার ভাল মন সচরাচর সকলেই বলিয়া থাকে ও বিশ্বাস করে। কিন্তু বুদ্ধি মনের আকার কি কেহ বলিতে পার? তাহ নিরাকার । অসভ্য অজ্ঞ লোকদিগের মধ্যেও এই আত্মজ্ঞান স্পষ্ট দেখিতে পাওয়া যায়। একদা পৰ্ব্বতবাসী এক অসভ্য স্ত্রী সন্তানের মৃতদেহ সম্মুখে রাখিয়া ক্ৰন্দন ও বিলাপ করিতেছিল, তখন তাহাকে কেহ বলিল, তোর যে পুত্র নিকটে, কাদিস কেন ? সে উদ্ধে অঙ্গুলি নির্দেশ করিয়া বলিল চলিয়া গিয়াছে । ইহা দ্বারা দেখিতে পাওয়া যায় নিতান্ত অসভ্য । অজ্ঞানী লোকেও আত্মা এবং পরলোকেতে বিশ্বাস করে । কি হিন্দু, কি মুসলমান সকলেই উপরত পিতৃলোকের