পাতা:উপদেশ (প্রতাপচন্দ্র মজুমদার).djvu/২৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধৰ্ম্ম ও নীতি > n করিবে ! ঈশ্বরকে ভক্তি করা, পরের উপকার করা পুণ্য, সকলেই মুক্ত কণ্ঠে বলিবে । ঈশ্বর প্রত্যেক আত্মার নিকটে ধৰ্ম্মশাস্ত্র প্রকাশিত রাখিয়াছেন, তাহার বাহ্য জগতে যেমন এক সূৰ্য্য সকল দেশের জন্ত, তদ্রুপ তাহার এক ধৰ্ম্ম-সূৰ্য্য সকলের আত্মাকে আলোক দানের জন্য । তবে জগতে ধৰ্ম্ম-প্রণালী বিভিন্ন দেখিতেছি কেন ? হিন্দু খ্ৰীষ্টিয়ান মুসলমানদিগের ধৰ্ম্মমতে অনেক অনৈক্য ও বিষম্বাদ দেখিতে পাই । এই বিভিন্ন ধৰ্ম্মমতের উৎপত্তির কারণ মনুষ্য । ঈশ্বরের অভিপ্রায় না বুঝিয়া কি অবহেলা করিয়া নিজের ক্ষুদ্র বুদ্ধির আলোকে বা স্বাৰ্থ সাধনের জন্য তাহারা ধৰ্ম্মপ্রণালী প্রস্তুত করিতে গিয়াছেন, তাহাতেই তাহা ভ্ৰমপ্রমাদ পূর্ণ মানব প্রকৃতির অনুপযোগী পরস্পর বিষম্বাদী হইয়াছে । যাহা সত্য, তাহ সাধারণ ; সকল সময়ে, সকল স্থানে, সকল জাতির মধ্যে এক প্রকার ; অন্তবিধ হইতে পারে না । অগ্নির এক সময়ে উষ্ণতা অন্ত সময়ে শীতল গুণ যেমন হয় না, আধ্যাত্মিক সত্য সম্বন্ধেও এই নিয়ম । বেদ কোরাণ বাইবেলের যেখানে মনুষ্যের মত, সেখানেই ক্ষুদ্রতা, সঙ্কীর্ণতা, ভ্রান্তি ও পরস্পর অসন্মিলন । যেখানে ঈশ্বরের, তাহাই উদার প্রশস্ত সাৰ্ব্বভৌমিক । তোমার যেমন পরিত্রাণ