পাতা:উপদেশ (প্রতাপচন্দ্র মজুমদার).djvu/২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আত্মবলিদান । রবিবার, ১০ই আশ্বিন, ১৭৯২ শক ; ২৫শে সেপ্টেম্বর, ১৮৭০ খৃষ্টাব্দ । সকল ধৰ্ম্মে বলিদান প্রথা প্রচলিত আছে। ঈশ্বরকে সন্তুষ্ট করিবার জন্ত কোন না কোন জীবের রক্তপাত হয়। কেন না, সাধারণতঃ তাহার জীবনের মূল্যে অন্ত লোক পরিত্রাণ ক্রয় করে। এই যে হিন্দুদিগের মহোৎসব উপস্থিত, গৃহে গৃহে পূজার আড়ম্বর, ধূপ ধূনার গন্ধ, বিষম কোলাহল, বাদ্যের ঘটায় চতুর্দিক প্রতিধ্বনিত, তন্মধ্যে একটি নির্দোষ জীবের প্রাণ বধ হইতেছে। তীক্ষ খঙ্গে তাহার মস্তক ছিন্ন হইল । এইরূপে অন্যান্য দেশেও পশু পক্ষী এবং মনুষ্যের রক্ত পৰ্য্যন্ত প্রবাহিত হইতেছে। কিসের জন্য ? ঈশ্বরের ক্রোধ নিবারণের জন্য । আমরা জানি যে, যিনি পশু পক্ষী মনুষ্য সকলকে রক্ষা করেন, তাহার ইচ্ছা নহে যে, কেহ রক্তধারায় মেদিনীকে অভিষিক্ত করে ; কিন্তু তথাপি মনুষ্যের স্বভাব-গত যে ধৰ্ম্ম, সেই ধৰ্ম্মেতেই এই বলিদানের প্রথা আছে। এই বলিদানের কি কিছু তাৎপৰ্য্য নাই ? ইহার মধ্যে অবশ্য কোন গৃঢ় অর্থ আছে। ধৰ্ম্মেতে শান্তি হয় ইহা সত্য ; ধৰ্ম্মেতে পরিত্রাণ হয়, পুণ্য হয়, ইহকালের পরকালের সদগতি হয় সকলেই স্বীকার করে। কিন্তু সেই সদগতি পাইবার কি উপায় ? কেবল শুস্কভাবে কি তাহ আকাজক্ষা করিলেই পাইব ? পরিত্রাণ লাভ করিতে গেলে সাধনার, তপস্তার প্রয়োজন। শ্রবণ করিয়াছি, পূৰ্ব্বকালে পরমেশ্বরের বর লাভের জন্য আমাদিগের পূর্বপুরুষেরা কত পরিশ্রম, কত তপস্যা করিয়াছিলেন। সে নিয়মে তপস্যা করিবার বিধি প্রচলিত নাই। প্রচলিত নাই বলিয়া কি