পাতা:উপদেশ (প্রতাপচন্দ্র মজুমদার).djvu/৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२२ উপদেশ । হইতে যুদ্ধধবনি আসিতেছে। সহস্ৰ কামানের ভীমনিনাদে চতুর্দিকে নরনারীর হৃদয় বিকম্পিত হইতেছে, অস্ত্রের সহিত অস্ত্রের প্রতিঘাতে যোদ্ধগণ ধরাশায়ী হইতেছে, শোণিতধারায় পৃথিবীর কর্দম, নদীর জল আরক্তিম হইতেছে। এ সকল কিসের জন্ত ? সামান্ত নরপতিদিগের অহঙ্কারের জন্ত—সাংসারিক গৌরবের জন্ত। যদ্যপি মনুষ্যের পরাক্রম প্রতিপত্তির জন্য লক্ষ লক্ষ লোক অকালে মৃত্যুকে আহবান করিতে সমর্থ হয়, তবে রাজরাজেশ্বরের সত্য সমরে একজন মনুষ্যও কি অগ্রসর হইবে না ? তাহার মহিমা প্রচার করিবার জন্য কি কেহ কোন কষ্ট স্বীকার করিবে না ? হে অন্যায়ুপথগামী মনুষ্যগণ, আর বিলম্ব কেন ? এখন সেনাপতি সত্যপতি ধৰ্ম্মপতি পরমেশ্বরের বিশ্ববিজয়ী নাম চারিদিকে প্রচারিত হইতেছে ; তাহার পশ্চাৎবর্তী হও, সত্যপতাকা হস্তে ধারণ কর, ধৰ্ম্মব্রতে দেহ প্রাণ উৎসর্গ কর, আত্মবলিদানে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হও, জীবন সার্থক হইবে । এইরূপে বলিদানের ভাব ব্রাহ্মসমাজে আসার অতিশয় প্রয়োজন। এ সময় হয়ত রক্তপাতের প্রয়োজন হইবে না। কৃষক যখন ভূমি কর্ষণ করে, সে কি স্বৰ্য্যের প্রখর কিরণ গ্রাহ করে, না, বৃষ্টির অবিশ্রান্ত ধারার প্রতি মনোযোগ করে ? সে সমস্ত দিন পরিশ্রম করিতেছে, ভূমি কর্ষণ করিয়া শস্য সংগ্রহ করাই তাহার লাভ, কিন্তু সে ক্লেশ পরিশ্রম গণনা করে না। সেইরূপ আমরা এক্ষণে যেন সত্যু-ক্ষেত্র কর্ষণ করিতে পারি। আত্মা যদি তাহাতে ক্লেশ পায়, একগুণ ক্লেশের পরিবর্তে ঈশ্বর সহস্র গুণ সুখ দিবেন । ইহা বলিতেছি না, এখনই ভিখারী হও । এই নিবেদন, পরমেশ্বর যে কাৰ্য্য-ভার, যে যন্ত্রণা-ভার মস্তকে দিবেন, দ্বিরুক্তি না করিয়া অবনতমস্তকে তাহ গ্রহণ কর। তিনি যাহাকে দরিদ্র করেন, ধনী অপেক্ষাও সে সৌভাগ্যবান। তিনি যাহাকে যন্ত্রণা দান