পাতা:উপদেশ (প্রতাপচন্দ্র মজুমদার).djvu/৩৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গঙ্গাতীর > > ○ এই যে এত জলস্রোত, এই যে নদীর এত প্রাবল্য, এই যে এমন সমুদ্রগামী প্রবল বেগ, ইহার উৎপত্তি কোথায় ? সেই হিমালয়ের উচ্চ শিখরে বিগলিত হিমানী ও হিমশীলা কিরূপে এত উচ্চ পৰ্ব্বতের উচ্চ শিখরে আরোহণ করিল ? অদৃশ্ব বাষ্প হইতে হিমানী, উহাই ঘনীভূত হইয়া হিমশীলা, বিগলিত হইয়া জল প্রবাহ, এই জলের বিবিধ আকার গঙ্গা, যমুনা, সরস্বতী, ব্রহ্মপুত্র, সিন্ধু । আকাশে ইহাদের উৎপত্তি, স্বর্গে ইহাদের স্থিতি, পৃথিবীতে ইহাদের গতি মাত্র । সূর্য্যের উত্তাপে সাগর হইতে বাষ্পাকারে জল উঠে, তুষার হইয়া পৰ্ব্বতে নামে, আবার সূর্য্যের উত্তাপে জল হইয়া নদীরূপে প্রবাহিত হইয়া সাগরে পড়ে । যে সূৰ্য্যকিরণে উৎপন্ন হিমানী সেই সূৰ্য্যকিরণেই বিগলিত জলস্রোত ; তেমনি যে ব্রহ্মের ইচ্ছাতে অনন্ত সত্যসিন্ধু হইতে ধৰ্ম্মের সৃষ্টি, তাহারই প্রবাহ এক একটি মহাজন । সূর্ঘ্যের আলোকে জলবিন্দু যেমন বিবিধ বর্ণ ধারণ করে, তেমনি মহাজনগণের অন্তরে কখনও ভাব, কখন ভক্তি, কখনও জ্ঞান, কখনও আত্মত্যাগ, কখনও আত্মবলিদান ; কিন্তু সমুদয়েরই মূল এক ব্ৰহ্মইচ্ছাতে । নদীর গতি সমুদ্রে, নদীর জল খাল বিল তড়াগ অনেক ধারণ করে সত্য ; কিন্তু সমুদ্র ভিন্ন