পাতা:উপদেশ (প্রতাপচন্দ্র মজুমদার).djvu/৩৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> > テ উপদেশ কে প্রেরণ করেন, এই সমস্ত চিন্তা মনে হইলে ধৰ্ম্মজীবন আরম্ভ হয় । তখন আধ্যাত্ম-জীবনের ভিত্তি স্থাপিত হয় । বারম্বার মনোমধ্যে এই প্রকার ধৰ্ম্মজনিত গভীর চিন্ত যাতায়াত করিলে তাহা ক্রমে ঘনীভূত ও শৃঙ্খলাবদ্ধ হয় । ধৰ্ম্মচিন্তা প্রগাঢ় হইলে তাহা ধৰ্ম্মমতে পরিণত হয় । চিন্তা বিশৃঙ্খল হইলে জীবন গঠিত হয় না । তাহা তরল, অনিশ্চিত, ও অস্থায়ী অবস্থায় থাকে পরিষ্কার চিন্ত মত ও বিশ্বাসের আকার ধরিলে তাহা দৃঢ় ও স্থায়ী হয় । অনেক লোক দেখিতে পাই র্যাহারা ধৰ্ম্মকে কেবল কতকগুলি মত মাত্র মনে করেন ; উৎকৃষ্ট ধৰ্ম্মমত হইলেই সমস্ত হইল । তাহারা মতের পক্ষপাতী, মতের দাস, মতের প্রচারক । ধৰ্ম্মবিষয়ক বিশুদ্ধ মত অত্যাবশ্যক বটে, আদরের বস্তু বটে, ইহা অবলম্বনীয় বস্তু সন্দেহ নাই, কিন্তু কতকগুলি ভাল মত হইলেই যে ধৰ্ম্মজীবন হইল ইহা মনে করিও না । কত কত উৎকৃষ্ট মতাবলম্বী ব্যক্তি নীতি চরিত্র বিষয়ে হীনতা প্রদর্শন করেন । যেমন ধৰ্ম্মচিন্তা ঘন হইয়া মতের আকার ধারণ করে, তেমনি ধৰ্ম্মমত ঘন হইয়া ধৰ্ম্মভাবের আকার ধারণ করে । যদি চিন্তার সঙ্গে-ভাৱ রস না মিলিল, যদি মতের সঙ্গে প্রেমোদয় না হইল,