পাতা:উপদেশ (প্রতাপচন্দ্র মজুমদার).djvu/৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঈশ্বরের ঈশ্বরত্ব। 8\ව কিন্তু তাহদের ধৰ্ম্ম ব্রাহ্মধৰ্ম্ম नई। ব্রাহ্মধৰ্ম্মের বিশেষত্ব এই যে, ইহা সম্পূর্ণরূপে মঙ্গলময়ের হস্তে সমর্পিত। তুমি শ্রেষ্ঠ, গুণবান, তোমাকে নমস্কার করি, তোমাকে ধন্যবাদ করি, যখন দুৰ্ব্বল হইয়াছিলাম, তখন তুমি সাহায্য করিয়াছ ; কিন্তু এমন অবস্থা আছে, যখন জ্যেষ্ঠ কনিষ্ঠের সম্পর্ক থাকে না । সে অবস্থায় যিনি দীন, বিনয়ী এবং শিশুর ন্যায় অসহায়, তাহারই জয় । মনে করিয়াছিলাম, পূৰ্ব্বে যে অসহায় অবস্থা হইয়াছিল, যখন গৃহহীন হইয়াছিলাম, তখন বিনয়ের পরাকাষ্ঠ হইল ; তখন জানিতাম না, বিনয়-সাধনের গভীরতর দেশ আছে। এই যে ধৰ্ম্মের রথ চালিত হইতেছে, ইহার রাশ রজু ঈশ্বরের হস্তে। ইহার মধ্যে, হে মনুষ্য! তুমি যদি একটি কথা বল, অমনি অমঙ্গলের হ্রদ মুর্থব্যাদান করিবে। এই ধৰ্ম্মবিধান কেবলই ঈশ্বরের দ্বারা চালিত হইতেছে, এই বিশ্বাস করিয়া স্থির হইয়া থাক। ঈশ্বর ভিন্ন এখানে আর অন্য সহায় নাই, ইহা জানিয়া কেবল র্তাহার দিকেই তাকাইয়া থাক। এই অসহায়তার ভিতরে এক গভীর সহায়তা পাইবে । আরাধনা, ধ্যান, প্রার্থনা যতই কেন করি না, এই যে নিঃশব্দ নির্ভর, ইহার তুল্য আর কিছুই নাই। এই যে বিদ্যার মধ্যে মূর্খতা, এই যে পরাক্রমের মধ্যে দুর্বলতা, এই যে মনের ভিতরে শিশুর অপেক্ষাও অসহায় অবস্থা, এই অসহায়তাই ব্রাহ্মের পরিত্রাণের সহায়, এই দুৰ্ব্বলতা তাহার বল, এবং এই মূর্খতাই তাহার জ্ঞান হয়। র্যাহার এই অবস্থা হইয়াছে, তিনি বুঝিয়াছেন, ঈশ্বরের হস্তে কোন ভার, এবং তাহার নিজের হস্তে কোন ভার। সেই যে ভিতরের গভীর জীবন তাহার সীমা নাই। পরিত্রাণরাজ্যে যে ব্যক্তি বুদ্ধিমান হয়, সে নিজে কিছু করে না। সে নিশ্চেষ্ট হইয়া এমনি চেষ্টা করে যে, পৃথিবীর কোন চেষ্টার সঙ্গে তার তুলনা হয় না। নিশ্চেষ্ট হইয়া যদি ঈশ্বরের চেষ্টা লাভ