পাতা:উপদেশ (প্রতাপচন্দ্র মজুমদার).djvu/৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ぐで উপদেশ । বলিতেছে, ঐ দুর্ভাগার অন্তঃকরণ এখনও শুষ্ক রহিল। আকাশের পক্ষীরা আনন্দে কলরব করিয়া তাহাদের কুলায় প্রবেশ করিল, জলের মৎস্যেরা সুখে জলস্রোতে সন্তরণ করিতে লাগিল, কিন্তু তুৰ্ভাগা ব্রাহ্ম, তাহার ভগ্নহৃদয় রাখিবার জন্ত কোথাও আশ্রয়স্থান পাইল না। অথচ চারিদিকে ঈশ্বরের প্রেমসিন্ধু উচ্ছসিত হইতেছে। চন্দ্র স্বৰ্য্যকে নূতনতা কে দেয় ? সেই ঐশ্বৰ্য্যশালী প্রাণময় ঈশ্বর। তুমি কেন তবে শোভার সাগর তটে বসিয়া কুৎসিত হইয়া রহিলে ? ধনীতে ধনীতে, দরিদ্রে দরিদ্রে বন্ধুত হইল, নদীর জলে জ্যোৎস্না মিলিয়া উভয়ে হাস্ত করিতে লাগিল ; কিন্তু ব্রাহ্ম! তুমি তোমার বন্ধুর সঙ্গে মিলিলে না। তোমার নূতন আনন্দ হইল না। বল, তুমি কেন জন্মিয়াছিলে ? কেন ব্রাহ্ম হইলে ? কেন ঘটা করিয়া সাম্বৎসরিক কর ? যদি তোমার চরিত্রে সৌন্দৰ্য্য শান্তি না থাকে, যদি তোমার আত্মাতে নুতন পবিত্রত না আসে, তোমার জীবনে প্রয়োজন কি ? এ সকল কথা মনে হইলে আপনার পুরাতন মলিনতা দেখিয়া কাহার না মন ক্ষুণ্ণ হয় ? ভাল হইতে পার, যদি সেই চিরনূতন সৌন্দর্যের আকর ঈশ্বরের পদাশ্রয় গ্রহণ কর। তিনিই একমাত্র নবজীবনদাতা । র্তাহার কাছে গিয়া বল, “বৃদ্ধ পাপী, পুরাতন দুরাত্মা আমি, তুমি নিত্য নূতন সৌন্দর্য্যের আধার, তোমার স্পর্শে তুমি আমাকে নূতন ও পবিত্র করিও লও।” আমি সত্য করিয়া বলিতে পারি, যদি এইরূপে র্তাহার শরণাপন্ন হই, আমার জীর্ণ পুরাতন জীবনও নুতন গৃহে প্রবেশ করিবে । যে ঈশ্বরকে দর্শন করে, তাহার মুখশ্রীর নিকটে কোথায় থাকে প্রাতঃস্বৰ্য্যের জ্যোতি, কোথায় থাকে প্রস্ফুটিত কমলের সৌন্দৰ্য্য ! স্বর্যের জ্যোতি বল, পূর্ণিমা বল, বসন্ত বল, সংসারের সুখ বল, কতক্ষণের জন্য ? একটু মেঘ, একটু বিপ্লব, একটু বাতাতে স্বৰ্য্যের জ্যোতি, চন্দ্রের