পাতা:ঊনবিংশতি সংহিতা.pdf/১৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ৰিফুসংহিতা । পুরমাক্রম্য সকলং শেতে যন্মান্মহাপ্ৰভু: | তন্মাৎ পুরুষ ইত্যেবং প্রোচ্যতে তত্ত্বচিস্তকৈঃ ॥ ১৫ । প্রাগ্রাভ্রাপররাত্ৰেষু যোগী নিত্যমতস্থিত: | ধ্যায়তেপুরুষং বিষ্ণুং নিগুৰ্ণং পঞ্চবিংশকমৃ ॥ ১৬ তত্ত্বাব্বানমগম্যঞ্চ সৰ্ব্বতত্ত্ববিবর্জিতম্। অসক্তং সৰ্ব্বভৃচ্চৈব নিগুণং গুণভোতৃ চ ॥ ১৭ | বহিরস্তশ্চ ভূতানামচরং চরমেব চ। স্বল্পস্থাৎ তদবিজ্ঞেয়ং দুরস্কঞ্চাস্তিকে চ তৎ ॥ ১৮ অবিভক্তঞ্চ ভূতেন বিভক্তমিব চ স্থিতম্। ভূতভব্যভবত্রপং গ্রসিষ্ণু প্রভবিষ্ণু চ ॥ ১৯ জ্যোতিষামপি তজ্জোতিস্তমস: পৰ্বমুচ্যতে। জ্ঞানং জ্ঞেয়ং জ্ঞানগম্যং হৃদি সৰ্ব্বস্ত বিষ্ঠিতম্ ॥ ২০ ইতি ক্ষেত্ৰং তথা জ্ঞানং জ্ঞেয়ঞ্চেজ্ঞং সমাসত । মদ্ভক্ত এতদ্বিজ্ঞায় মস্তাবায়োপপদ্যতে ॥ ২১ ইতি বৈষ্ণরে ধৰ্ম্মশাস্ত্রে সপ্তনবতিতমোহধ্যায় ॥ ৯৭ করা উচিত । পুরুষ ব্যতীত অক্ষর বস্তুও কিছু | নাই । পুরুষপ্রাপ্তি হইলেই মুক্ত হয় । যেহেতু মহাপ্ৰভু সকলপুর অর্থাৎ ভূতগ্রাম বা লিঙ্গশরীর অধিকার করিয়া শয়ন অর্থাৎ অবস্থান করেন, সেইজষ্ঠ তত্ত্ববিদ্যাপরায়ণ ব্যক্তিগণ র্তাহাকে পুরুষ এই ‘নামে অভিহিত করেন । যোগী প্রত্যহ নিরলস হইয় প্রথম রাত্রি ও শেষ রাত্রিতে নিগুণ পঞ্চবিংশ অর্থাৎ চতুৰ্ব্বিংশতি তত্ত্বের অনন্তর্গত, সত্যরূপ এবং চক্ষুরাদির অগোচর বিষ্ণুরূপী পুরুষের ধ্যান করিবে এবং তাহ অর্থাৎ—ব্রহ্ম পুরুষ-প্রকৃত্যাদি সৰ্ব্বতত্ত্বের বহিভূত, অনাসক্ত, সৰ্ব্বভৃৎ, নিগুণ অথচ ত্রিগুণকাৰ্য্য জ্ঞান-মুখাদির সাক্ষস্বরূপ ভূত সকলের বহিভাগে ও অন্তরে স্থিত স্থাবর ও জঙ্গম স্বরূপ নিরাকারত্ব প্রযুক্ত অবিজ্ঞেয় অতএব দূরস্থ অথচ তিনি নিকটেও আছেন। প্রকৃতরূপে বলিতে গেলে,ভূতের সহিত অবিভক্ত অথচ বিভক্তের মত স্থিত, ভূতভবিষ্যৎ ও বর্তমাম স্বরূপ, সৰ্ব্বসংহারক এবং সৰ্ব্বেংপাদক । তিনি জ্যোতিঃসকলেরও জ্যোতিঃ আর অজ্ঞাননিবৃত্তির পর প্রাপ্য বলিয়া কথিত হইয়াছেন। তিনিই জ্ঞান স্বরূপ, ঘটপটাদি জ্ঞেয়স্বরূপ, জ্ঞানগম্য এবং সকলের হৃদয়মধ্যে অবস্থিত। এইরূপ ক্ষেত্রযোগ এবং ব্ৰহ্ম সম্বন্ধে জ্ঞান ও জ্ঞেয় সংক্ষেপে কথিত হইল। আমার ভক্ত উহা উত্তমরূপে বিদিত হইলে আমাকে পাইতে পারে। ১—২১ । ” সপ্তনবতিতম অধ্যায় সমাপ্ত ॥৯৭ ॥ ওঁ । বসুধাপি مهد অষ্টনবতিতমোছধ্যায় । ইত্যেবমুক্ত বসুমতী জাদুভ্যাং "শিরশ চ নমস্কায়ং কৃত্বোবাচ। ১। ভগবত্ত্বৎসমীপে সততমেবং চত্বারি মহাভূতানি কৃতালয়ান্তাকাশং শঙ্খঙ্কণী বায়ুশ্চক্ররূপী তেজশ্চ গদ্যরূপ্যন্তোহস্তোরুহুরূপি অহমপানেনৈব রূপেণ ভগবৎপাদমধ্যপরিবৰ্ত্তিনী ভৰিতুমিচ্ছামি ৷ ২ ইত্যেবমুক্তে ভগবাংস্তখেত্যুৰাচ । লন্ধকামী তথা চক্ৰে ॥ ৪ { দেবদেবঞ্চ তুষ্টব ॥ ৫ ॥ ও নমস্তে ॥ ৬ । দেবদেব ॥ ৭ ॥ বাসুদেব ॥ ৭ আদিদেব । ৯ । কামদেব ॥ ১০ ॥ কামপাল ॥ ১১ ॥ মন্ত্ৰীপাল ॥ ১২ ॥ অনাদিমধ্যনিধন ॥ ১৩ । প্রজপতে ॥ ১৪ ॥ সুপ্রজাপতে ॥ ১৫ । মহাপ্রজাপতে " ১৬ ॥ উজ্জস্পতে ॥ ১৭ ॥ বাচস্পতে ॥ ১৮ ॥ জগৎপতে ॥ ১৯ ॥ দিবল্পতে ॥ ২০ ॥ বনম্পতে ॥ ২১ ৷ পয়স্পতে ॥ ২২ । পৃথিবীপতে ॥ ২৩ ॥ সলিলপতে ॥ ২৪ ॥ দিকৃপতে ॥ ২৫ । মহৎপতে ॥ ৬। মরুংপতে ॥ ২৭ লক্ষ্মীপতে ॥ ২৮ । ব্ৰহ্মরূপ ॥ ২৯ ব্রাহ্মণপ্রিয় ॥ ৩• ॥ সৰ্ব্বগ ॥ ৩১ ॥ অচিন্ত ॥৩২ জ্ঞানগম্য। ৩৩। পুরুস্থত। ৩৪ ৷ পুরুষ্ট ত ॥ ৩৫ ৷ ব্ৰহ্মণ্য ॥ ৩৬ ৷ ব্রহ্মপ্রিয় ॥ ৩৭ ৷ অস্টনবতিতম অধ্যায় । ভগবান বিষ্ণু, বসুমতীকে এই সমস্ত কথা বলিলে বসুমতী ভগবানকে জামুদ্বয় এবং মস্তক ও করদ্বয় দ্বারা নমস্কার করিয়া অর্থাৎ উক্ত অঙ্গসকল ভূতল-লুষ্ঠিত করিয়া প্রণামপূর্বক বলিতে লাগিলেন, —ভগবন! আকাশ শঙ্খরুপে, বায়ু চক্ররূপে, তেজ গদারূপে, এবং জল পদ্মরূপে—এইরূপ মহাভূচতুষ্টয় তোমার নিকটে সৰ্ব্বদাই অবস্থিতি করিতেছে, আমিও এইরূপে ভগবানের পাদদ্বয়-মধ্যবৰ্ত্তিনী হইয়া থাকিতে ইচ্ছা করি। বসুমতী কর্তৃক এই প্রকার কথিত হইয়া ভগবান “তথাস্ত” বললেন। পৃথিবী পূর্ণমনোরথ হইয় তাহাই করিলেন । “তোমাকে নমস্কায় । হে দেবদেব ! বাসুদেব ! আদিদেব ! কামদেব ! কামপাল ! "মহীপাল ! অনাদিমধ্যস্ত! প্রজাপতি ! সুপ্রজাপতি ! অহপ্রজাপতি ! উর্জস্পতি ! বাচস্পতি । জগৎপত্তি । দিব-পতি। রনস্পতি । পয়স্পতি। পৃথিবীপডি! সলিলপতি ! ! মহুৎপতি। মক্কৎপতি , লক্ষ্মীপতি ! ব্রহ্মরূপ, ব্রাহ্মণপ্রিয় দাগ !