পাতা:এপিক্‌টেটসের উপদেশ - জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩৬
এপিক্‌টেটসের উপদেশ।

মরিয়াছে?—“যাঁহার ধন তাঁহাকেই প্রত্যর্পণ করা হইয়াছে”। তোমার পত্নী কি মরিয়াছে?—“প্রত্যর্পণ করা হইয়াছে”। তোমার সম্পত্তি হইতে তুমি কি বঞ্চিত হইয়াছ?—“তাহাও প্রত্যর্পিত হইয়াছে”। ঋণদাতা কাহার দ্বারায় তাঁহার নিজস্ব দাবী করেন—তাহাতে তোমার কি আইসে যায়?

 অতএব যতক্ষণ তিনি দ্রব্যটি তোমার নিকট রাখেন, ততক্ষণ তুমি অন্যের সম্পত্তি বিবেচনা করিয়া, তাহার সুব্যবস্থা করিবে। পথিকেরা যেরূপ পান্থশালার ব্যবহার করিয়া থাকে তুমিও সেইরূপ উহার ব্যবহার করিবে।

কোন পথে সুখ?

 ১। “আমার যাহা ইচ্ছা তাহাই যেন ঘটে” এই রূপ আকাঙ্ক্ষা না করিয়া, “যাহাই ঘটুক না কেন, আমি তাহা অম্লানবদনে গ্রহণ করিব” —এইরূপ যদি তোমার মনের ভাব হয় তাহা হইলেই তুমি সুখী হইবে।

 ২। রোগ শরীরেরই বাধা, উহা আত্মার বাধা নহে;—আত্মার বাধা হয়, যদি উহাতে আত্মার সম্মতি থাকে। খঞ্জতা পায়েরই বাধা— উহা আত্মার বাধা নহে। যাহা কিছু ঘটুক না—সকল অবস্থাতেই তুমি এইরূপ বলিতে পার যে, এ বাধা আমার নহে, এ বাধা আর কিছুর।

 ৩। কে তবে তোমাকে উৎপীড়ন করে—কে তোমাকে কষ্ট দেয়? তোমার অজ্ঞানই তোমাকে উৎপীড়ন করে—তোমাকে কষ্ট দেয়। যখন আমরা বন্ধুবান্ধব হইতে—সুখ সম্পদ হইতে বিযুক্ত হই, তখন নিজের অজ্ঞানই আমাদিগকে উৎপীড়ন করে। ধাত্রী যখন কিয়ৎকালের জন্য শিশুর নিকট হইতে চলিয়া যায়, তখন শিশু ক্রন্দন করে;