পাতা:ঐতিহাসিক চিত্র (প্রথম বর্ষ) - নিখিলনাথ রায়.pdf/৩৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেশীয় কামান । আফগানগণের ধ্বংস সম্পাদনা করিয়া নবাব মুর্শিদাবাদে প্ৰত্যাবৃত্ত হন। এই যুদ্ধে তাহার যেরূপ অর্থের প্রয়োজন হইয়াছিল, শেঠগণ। তাহার যথোচিত সাহায্য করিতে ক্ৰটি করেন নাই। মহারাষ্ট্রীয় আক্রমণ ও আফগান বিদ্রোহের শান্তির জন্য নবাবের রাজকোষ প্ৰায় শূন্য হইয়া উঠিয়াছিল। কিন্তু শেঠগণ যথাসাধ্য নবাবকে সাহায্য করায় নবাৰ অৰ্থাভাব অন্ধুত্ব করিতে পারেন নাই। ভাগ্যলক্ষ্মীর বরপুত্র জগৎশেঠ যাহার প্রধান সহায়, তঁহার অর্থাভাব ঘটিবার সম্ভাবনাই থাকিতে পারে না । ফলতঃ শেঠদিগের দ্বারা নানা প্রকারে উপকৃত হইয়া নবাব আলিবর্দি খাঁ স্বীয় অশান্তিপরিপূর্ণ রাজত্বে শান্তি লাভ করিতে সক্ষম হইয়াছিলেন । দেশীয় কামান বৈজ্ঞানিক যুগে বৈজ্ঞানিক যুদ্ধে বসুন্ধরা কম্পান্বিতকলেবর হইয়া উঠিয়াছেন। এখন আর অসি তরবারির ঝঞ্চনা, তীরের শন শন শব্দ বা শাণিত বর্ষার বিদ্যুৎ ক্রীড়া নাই। কামানের অভ্ৰভেদী গর্জনে ও বন্দুকের মৃদুগম্ভীর আরাবে বর্তমান সময়ে রণক্ষেত্র শব্দায়মান হইয়া থাকে। বিজ্ঞান এ জগতে যতই আপনার আধিপত্য বিস্তার করিতেছে, ততই কামান, বন্দুক, গোলাগুলি । ও বারুদের নানাপ্রকার উন্নতি সাপিত হইতেছে। বৰ্ত্তমান যুগের মাক্সিম গন মাটিনি রাইফস্বা, দমদম বুলেট, এবং ইঙ্গ-বুয়র যুদ্ধ ও রুষ-জাপান যুদ্ধের লংটম কামান ও সিমুজ পাউডার বিজ্ঞানের অদ্ভুত শক্তির পরিচয় দিয়াছে। বিজ্ঞানের রাজত্ব যতই বদ্ধমূল হইবে, ততই বৈজ্ঞানিক যুদ্ধান্ত্রের অদ্ভূত লীলা আমরা দেখিতে পাইব । যদিও বৈজ্ঞানিক যুগে বৈজ্ঞানিক যুদ্ধান্ত্রের অপরিসীম উন্নতি সাধিত হইতেছে, তথাপি বহুদিন পূৰ্ব্বে এই যুদ্ধান্ত্রের আবিষ্কার হইয়াছিল। তখন বৈজ্ঞানিক যুগ আরম্ভ না হইলেও বিজ্ঞান জগৎ সৃষ্টির সঙ্গে সঙ্গেই মনুষ্যের সূহকারীরূপে