পাতা:ঐতিহাসিক চিত্র (প্রথম বর্ষ) - নিখিলনাথ রায়.pdf/৪৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૨88 ঐতিহাসিক চিত্র। সাবডিভিসন বাখরগঞ্জ জেলা হইতে ফরিদপুরের অধীন হইলে উহা একটিী প্ৰকৃত জেলাতে পরিণত এবং তৎপর হইতেই তথায় একজন ডিষ্ট্রিক্ট জজ নিযুক্ত হয়। পূর্বে মুনফৎগঞ্জের থানা ঢাকার জেলার অধীন ছিল। ১৮৬৬ খৃষ্টাব্দে উহ। বাখরগঞ্জ, ভুক্ত হইয়া মাদারীপুর সাবডিভিসনের মধ্যে যায়। এখন মাদারিপুরের সহ উহাও ফরিদপুরের এলেকা ভুক্ত হইয়াছে । সম্প্রতি মুনফৎগঞ্জ নামের পরিবর্তে পাংশা ষ্টেসন নাম হইয়াছে । /* বলিতে গেলে ভূষণ ও পালং থানাই জেলার প্ৰাচীন অংশ ; যদি কিছু প্ৰাচীন ঐতিহাসিক বা কীৰ্ত্তির বিষয় সংগঠিত হইয়া থাকে। তবে ঐ দুই ষ্টেসনের অন্তর্গত স্থানেই তাঁহা অধিক পরিমাণে হইয়াছে। ভুষণার মুকুন্দ রায়, সংগ্ৰাম সাহ ও সীতারাম রায়ের নাম আজ কাল কে না অবগত আছেন ? বিক্রমপুরের কথকাংশ এবং ইদিলপুরের কথকাংশ লইয়া পালং ষ্টেসন, এই বিক্রমপুরের চাদরায়, কেদার রায় এবং রাজবল্লাভের পরিচয় কাহার অবিদিত ? আমরা প্ৰসঙ্গক্রমে এই সকল মহাত্ম্যাগণের এবং অপরাপর কতিপয় ঘটনার সক্তিক্ষপ্ত বীরোচিত ইতিহাস মাত্র এই স্থলে উল্লেখ করিতে প্ৰয়াস পাইলাম । এতৎ সম্বন্ধে অধিক বাক্যবিন্যাস অনাবশ্যক । আকবর সাহের শাসনের ২৮ বৎসরে (১৫৮৩ খৃঃ) প্রথম আমরা ফতেয়া - বাদের নাম প্ৰাপ্ত হই । এই সময়ে খানি আজাম মীরজা কোকা বাঙ্গলা ও বিহারের বিদ্রোহ দমনে নিযুক্ত ছিলেন। মাশুম কাবুলী ও কাতলু লোহানী বিদ্রোহের নায়ক ছিলেন । কালীগঙ্গার নিকট উভয় পক্ষের সাক্ষাৎ হওয়ায় যুদ্ধ আরম্ভ হয় । “রাজকীয় সৈন্য শত্রু সৈন্যের সম্মুখীন হইয়া একমাস পৰ্যন্ত যুদ্ধ করেন। প্ৰত্যহই উভয় পক্ষের যুদ্ধ হইত, উভয় পক্ষেই যথেষ্ট সাহস প্রদর্শন করিয়াছিলেন । কিন্তু পরিণামে বিদ্রোহীদের কোন ভয়ের সঞ্চার হওয়ায় রাজকীয় সৈন্য জয়লাভ করে। এই সময়ে বিদ্রোহীদিগের মধ্যে কাজীম জাদা নামক কোন নেতা ফতেয়াবাদ হইতে অনেকগুলি যুদ্ধ জাহাজ এবং কামান বন্দুক