পাতা:কথামালা - ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর (সচিত্র).pdf/৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৭৪
কথামালা

তাল লইয়া গিয়াছে। তখন সে মাথা খুঁড়িয়া, চুল ছিঁড়িয়া, হাহাকার করিয়া, উচ্চৈঃস্বরে রোদন করিতে লাগিল।

 এক প্রতিবেশী, তাহাকে শশাকে অভিভূত ও নিতান্ত কাতর দেখিয়া, কারণ জিজ্ঞাসিল এবং সবিশেষ সমস্ত অবগত হইয়া বলিল, ভাই, তুমি অকারণে রোদন করিতেছ কেন? একখণ্ড প্রস্তর ঐ স্থানে রাখিয়া দাও, মনে কর, তোমার সোনার তাল পূর্ব্বের মত পোতা আছে। কারণ, যখন স্থির করিয়াছিলে, ভোগ করিবে না, তখন এক তাল সোনা পোতা থাকিলেও যে ফল, আর একখানা পাথর পোতা থাকিলেও সেই ফল। অর্থের ভোগ না করিলে, অর্থ থাকা না থাকা, দুই সমান।

কৃপণ—ব্যয়কুণ্ঠ ব্যক্তি। অপহরণ—চুরি।

ব্যবস্থা—উপায়, বন্দোবস্ত। নিভৃত স্থানে—গুপ্তজায়গায়।

সিংহ, ভালুক ও শৃগাল।

কোনও স্থানে মৃত হরিণশিশু পতিত দেখিয়া, এক সিংহ ও এক ভালুক উভয়েই বলিতে লাগিল, এ হরিণশিশু আমার। ক্রমে বিবাদ উপস্থিত হইয়া, উভয়ের যুদ্ধ উপস্থিত হইল। অনেকক্ষণ যুদ্ধ হওয়াতে, উভয়েই নিতান্ত নির্জীব হইয়া পড়িল; উভয়েরই আর নড়িবার ক্ষমতা রহিল না। এই সুযোগ পাইয়া, এক শৃগাল