পাতা:কমলা - আশুতোষ ভট্টাচার্য্য.pdf/১২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কমলা লাগিয়াছিল যে, পিঞ্জরের দ্বার মুক্ত পাইলেও সে কখন পলাইবার চেষ্টা করিত না । দুধ দিতে বা ছোলা দিতে বেলা হইয়াছে বলিয়া অনঙ্গের উপরে রাগ করিয়া কমলাই কতদিন তাহাকে ছাড়িয়া দিয়াছে, সে তবু উড়িয়া যায় নাই ; কিন্তু আজ যখন কমল সজলনেত্ৰে পিঞ্জরের বাহিরে আনিয়া নিজ বিম্বাধরে শুকের কিংশুকান্ত চুম্বন করিয়া তাহাকে উড়াইয়া দিল, সে আর একবারও কোথাও বসিল না ! একেবারে উধাও হইয়া কোথায় উড়িয়া গেল ! অতঃপর যে আর কমলার করকমলাপ্রদত্ত আহাৰ্য্যের আশা নাই, শুকও কি তাহা বুঝিতে পারিয়াছিল ? বেলা থাকিতে থাকিতেই কমলা অনঙ্গকে খাওয়াইয়া দিল । সন্ধ্যার পরেই অনঙ্গ নিজ মলিন শয্যাট বিছাইয়া শয়ন করিল এবং অনতিবিলম্বেই নিদ্রিত হইল। কমলা চূড়ামণির আগমন চাহিয়া বাতায়নতলে বসিয়া রহিল। সেই স্থানে বসিয়া সে অতীত ও ভবিষ্যতের কত কথাই ভাবিতে লাগিল। যখন মনে করিল “চুড়ামণিঠাকুরের আগেই যদি তিনি এসে পড়েন-কি ব’লে তাঁকে ফিরিয়ে দেবো।” তাহার বোধ হইল যেন কে । ভোতা ছুৱী দিয়া তাহার মৰ্ম্মের শিরাগুলিকে কাটিয়া দিতেছে। যখন ভাবিল, “তিনি যখন এসে দেখবেন আমি বাড়ীতে নেই, কোথায় গেছি কেউ জানে না, তখন তিনি কি মনে ক’রবেন ?”-তাহার দুই চক্ষে যেন শ্রাবণের ধারা বহিতে লাগিল । ଗନ୍ଧ নীলকমল কমলাকে সত্যের বন্ধনে বঁাধিয়া প্ৰবাসে পাঠাইবার ব্যবস্থা DBB DDD DDB BBBB DBDD DBDD DBDBBDLSS DB BDDBDB প্ৰণাম করিয়া পায়ের ধূলা লইয়াই বাহিরে চলিয়া গেল, কোন কথা { ১২১