পাতা:কমলা - আশুতোষ ভট্টাচার্য্য.pdf/১৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শিমলা سمی= ভাবাবে না, মুখ কথার ছলেও। আর কারু নাম উচ্চারণ করবে না -এ রকম ভালবাসাতে আর বর্বরজাতীয় প্রভুর ক্রীতদাসীর প্রতি ভালবাসাতে ভেদ কি ?-না, আমি তার এ স্বলন,--যাদি তাই হয়, মাৰ্জনা ক’রে তাকে ভালবাসতে না পারি, ঘৃণা করি কেন ? সে যদি এতেই সুখী | হয়ে থাকে হ’ক ; আমার তাতে ঘুণ, রাগ, দুঃখ বা অভিমান করবার । কি আছে ? তার মনের ওপরে ত আর আমার জোর নেই ? ' ' বিরাজ এইরূপ ভাবিতে ভাবিতে কক্ষতলে পরিক্রমণ করিতে লাগিল । দেয়ালের গায়ে সুন্দর “ফুেমে” বাঁধান কমলার একখানি আলোকচিত্র । কুলান ছিল। বেড়াইতে বেড়াইতে সে একবার থামিয়া সেই ছবিখানার দিকে একদৃষ্টিতে চাহিয়া থাকিয়া একটা দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলিয়া বলিল, , “আমি যে তোর জন্যে দেশ, ঘর-বাড়ী, মা-বাপ, আত্মীয়-বন্ধু, সব ছেড়ে মানুষের ধৰ্ম্ম ও সন্তানের কৰ্ত্তব্য ত্যাগ ক’রে দেশত্যাগী হ’তে প্ৰস্তুত হ’য়েছিলুম!”—এই কথা বলিয়াই উদভ্ৰান্তভাবে ছবিখ্যানাকে পাড়িয়া মেজেতে আছাড় দিয়া ফেলিয়া দুই পায়ে তাহার উপরে দাড়াইয়া সেই-- খানাকে দলিত ও চূর্ণ করিয়া ফেলিল। একটা দেরাজের ভিতরে সবুজ রঙের রেশমী ফিতায় বাধা এক গােছ। পুরাতন চিঠি ছিল, সেইগুলিকে বাহির করিয়া ছিড়িয়া জড় করিয়া তাহাতে দেশালাই জালিয়া দিল । তাহার দুই চারিখানি বইএর পাতায় কমলা নিজের নাম লিখিয়াছিল, সে ছুরীর ডগে করিয়া সেই সব স্থানগুলিকে কাটিয়া তুলিয়া ফেলিল। তাহার ইচ্ছা হইতেছিল, কমলার স্মৃতিটাকে পৰ্যন্ত তেমনি করিয়া ঘূণাফলকের দ্বারা নিঙ্গের মন হইতে কাটিয়া তুলিয়া ফেলে। ঘরের যে যে বস্তুতে কমলার किछु সংজ্ঞািন্ধ ছিল, সেইগুলিকে সে ধ্বংস করিতে আরম্ভ করিল। কিছুক্ষণ এইভাবে ধ্বংসকাৰ্য্য-পরিচালন করিয়া মেজেতে দাড়াইয়া দেখিতে লাগিল, [ ১৩৩