পাতা:কমলা - আশুতোষ ভট্টাচার্য্য.pdf/১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

काळ সেইভাবে মালা-গাথা ফেলিয়া, পিতার কক্ষে আসিয়া জিজ্ঞাসা করিল। *cकन, दादा ?-दांडांनी क'ब्रुद कि ?” সূৰ্য্যনারায়ণ উঠিয়া, শয্যার উপরে বসিয়া বলিলেন, “না-মা ! জানালাগুলি এইবার সব খুলে দাও!” কমলা তাহাই করিল এবং মালা-গাথার সরঞ্জাম আনিয়া আপনিও সেই ঘরের মেজেতে বসিল। সূৰ্য্যনারায়ণ চশমা পরিয়া বইখানি কোলে তুলিয়া লইলেন। সূৰ্য্যনারায়ণের বয়স পঞ্চাশের বড় বেশী হইবে না ; কিন্তু দেখিলে বোধ হয়, সম্পূর্ণ আশীটি বৎসর তাহার পলিত মস্তকের উপর দিয়া চলিয়া গিয়াছে। মেঘাচ্ছন্ন দিনের সন্ধ্যার ন্যায় যেন সময়ের পূর্বেই জরা আসিয়া তাহার রোগজীর্ণ দেহখানিকে অধিকৃত করিতেছিল। সুখ ও সম্পদ যাহাদিগকে ত্যাগ করিয়া যায়, বসন্ত-রোগের মত তাহাদের মুখে একটা অনপনেয় চিহ্ন রাখিয়া যায়। তঁহার মুখে সে চিহ্ন সুস্পষ্ট । একদিন তঁাহার অর্থ ও সম্পত্তি যথেষ্ট ছিল, কিন্তু সংসার যাহাকে “হিসাব’ বলে, তিনি তাহা ভাল বুঝিতেন না; তাহাতেই সুসময়ে অনেককে অর্থ দিয়া, কন্যা ও অন্যান্য দায় হইতে মুক্ত করিয়া সময়ের বিগতিতে আজ আপনিই একমাত্র কন্যার উদ্বাহ-উৎসবকেও দায় বলিয়া ভাবিতে বাধ্য হইয়াছিলেন। বইখানি খুলিয়া রাখিয়া দিয়া, চশমাখানি কাপড়ে মুছিতে মুছিতে সূৰ্য্যনারায়ণ বলিলেন, “তুমি কি একবারও একটু ঘুমাও নি, মা ?” কমলা। দিনে যে আমার ঘুম হয় না, বাবা !-তুমি ত বল দিনে ঘুমন ভাল নয় সূৰ্য্য। তা সত্য, তবে আমার না কি রাত্রিতে ভাল ঘুম হয় না। তাই দিনের বেলা গুলেই চােখ দু’টি যেন ঘুমে বুজে আসে। [ و