পাতা:কমলা - আশুতোষ ভট্টাচার্য্য.pdf/১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

दशाव् বুঝিয়া উঠিতে পারে না । যাহা করিতে নাই তাহার উপরেই যে মনের কেমন একটা ঝোক পড়ে, যে সময়ে যে কথাটা মনে করিতে নাই ঠিক সেই সময়ে সেই কথাটাই যে আগে মনে উঠিয়া পড়ে, যে দিকে চাহিতে নাই চোখ যে নিয়ত সেই দিকেই ছুটিয়া যায়, তাহা সে বেশ বুঝিত। তারিতালিকায় চাঁদ দেখিবার জন্য তাহার চক্ষুদুটিও কতদিন কেবল আকাশের দিকেই ছুটিয়া গিয়াছে। তাতাতেই সে সিদ্ধান্ত করিয়াছিল, এটাও সেইরূপ একটা নিষিদ্ধের আকর্ষণ ; কিন্তু সম্প্রতি আবার আর একটা কথা মনে উঠিয়া এ সিদ্ধান্তটাকে ফিরাইয়া দিবার চেষ্টা করিতেছিল । কমলা তাহার পিতার মুখে শুনিয়াছিল, মানুষের অনাত্মবিশ মন বিধাতার ইচ্ছার অনুগামী হইয়া বায়ুতাড়িত তৃণের ন্যায়। অবশ্যম্ভাবী বিষয়ের দিকে ধাবিত হইয়া থাকে। তাহাতেই সে ভাবিত এবং মালা ? গাথিতে গাঁথিতে ভাবিতেছিল, বিধাতা যদি বিবাহের পূর্বেই তাহার মরণের বিধান না করিয়া থাকেন তবে অবশ্যই একজনকে তাহার স্বামিরূপে নিৰ্বাচিত করি: রাখিয়াছেন—সংসারের অসংখ্য মনুষের মধ্যে সেই একজনের অদৃষ্টের সঙ্গে তাহার অদৃষ্টকে একসূত্রে বাধিয়া দিয়াছেন, সেই কি এই বিরাজমোহন ? কিন্তু তাহার পিতা সাধ্যাতীত বলিয়া সে প্ৰস্তাব বহুদিন পূর্বে ত্যাগ করিয়াছেন ভাবিয়া তাহার মনটা বিষন্ন হইয়া পড়িল । কমলা ধীরে ধীরে দীর্ঘশ্বাস ফেলিয়া একটা বীজের মধ্যে সুতা চালাইবার উপক্ৰম করিতেছিল, এমন সময়ে সূৰ্য্যনারায়ণ জাগিয়া ডাকিলেন, *cकांथों 6श भों-कभला !” - নিদ্রিত শিশু জাগিয়া ডাকিলে তাহার জননী যেমন আৰূ কাৰ্য্য অসমাপ্ত ত্যাগ করিয়া তাহার উদ্দেশে ধাবিত হইয়া থাকে, কমলাও a