পাতা:কমলা - আশুতোষ ভট্টাচার্য্য.pdf/১৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

दञढ्न হীরালাল প্রথম যেদিন কাত্যায়নী ও মোহিনীর ষড়যন্ত্রে । করিতে প্ৰবৃত্ত হয়, তাহার প্রসুপ্ত বিবেক একবার জাগিয়া তাহাকে বলিয়াছিল,-“বিরাজ বা কমলা তোমার কোন অপকার করে নাই, তবে নীলকমলের দোষে তাহদের দুঃখ দিবার জন্য তোমার এ অধ্যবসায় কেন ?” মানুষের ঘটে। সুমতি ও কুমতি দুই আছে। কুমতি বলিল,- “বাঃ ! অষ্ঠে কে দুঃখ পাইবে কি না পাইবে সে ভাবনা তোমার কেন ?-- তাহাদের সুখ-দুঃখের সঙ্গেই কি নীলকমলের সুখ-দুঃখ জড়িত নয় ?” হীরালাল কুমতির কথা শিরোধাৰ্য্য করিয়া ক্ষীণ বিবেককে বিরুদ্ধ যুক্তির বলে নিরস্ত করিল ; তখন বুঝিল না যে দুষ্কৰ্ম্মের পদচিহ্ন ধরিয়া অনুতাপ ও সহসুবিধ অমঙ্গল আসিয়া তাহার সব সুখ ও আনন্দকে নষ্ট করিয়া দিবে। এখন অনেক সময়ে তাহার মনে হয়,-পরের অনিষ্ট ত যথেষ্ট করিয়াছি, আপনি তাহাতে কি ইষ্ট লাভ করিলাম ? নীলুকাকার ঘর হইতে সুখের বাস উঠাইয়া দিয়াছি; কিন্তু আপনার কিছু বাড়াইতে পারিয়াছি কৈ ?-- শুধু তাহাই নহে, তাহার মনটাও যেন ইদানীং কেমন দুর্বল হইয়া পড়িতেছিল, প্ৰত্যক্ষ-বাদের অনেক কথার উপরে একটা কেমন সংশয় ও অবিশ্বাস আসিয়া পড়িতেছিল। পূর্বে যে সকল কথাকে কুসংস্কার বলিয়া সে হাসিয়া উড়াইয়া দিত, এখন সেই সব কথাই জোর করিয়া তাহার মনে উঠিয়া পড়ে। তাহদের হাত হইতে নিস্কৃতি লাভের ইচ্ছায় সে সৰ্ব্বদা আনন্দের সঙ্গী খুজিয়া বেড়ায় ; কিন্তু সকলেই তাহার মত নিষ্কৰ্ম্ম৷ নহে । সঙ্গী, কৰ্ম্ম ও আনন্দের অভাবে তাহার জীবনটা যেন দিনে দিনে বড়ই দুর্ভর হইয়া উঠিতে লাগিল। একটা কাৰ্য্যে কেবল সে এখন একটু আনন্দ অনুভব করে,-মুরাপান! কিন্তু অজস্র সে আনন্দ কিনিবার মত অর্থ কোথায় ? স্থাবর অস্থাবর যাহা কিছু ছিল, হীরালাল একে একে [ ماند