পাতা:কমলা - আশুতোষ ভট্টাচার্য্য.pdf/১৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

कभला সেইখানে বসিয়াই রাত্রি কাটাইবার ইচ্ছায় পায়ের কাদা মুছিতে মুছিতে দেখিতে পাইল, ছোট একটা দরজার নীচে কুলুঙ্গির মত কাটা একটা সরু পৈঠা রহিয়াছে। তাহার উপরে বসিয়াই সে আপনাকে সৌভাগ্যবান মনে করিল এবং জানুদুইটিকে বুকের কাছে চাপিয়া ধরিয়া একটু স্বচ্ছন্দ বোধ করিতেছিল এমন সময়ে সেই দরজা খুলিয়া একজন জিজ্ঞাসা করিল, “এখানে কে র্যা ?” হীরালাল শশব্যাস্তে দাড়াইয়া উঠিয়া বলিল, “আজ্ঞে আমি বিদেশী ভদ্রসন্তান;—থাকুবার স্থান নেই, রাতটা এইখানে কাটাব মনে ক’রে ব’সেছি।” লোকটা রুক্ষম্বরে বলিল, “না, না, এখানে থাকা টাকা হবে না;- ঐ ওদিকের “ফুটুপাতে’ যাও!” হীরালাল নির্বিঃমনে উঠিয়া একটু দূরে একটা বড় গাছের তলায় আসিয়া গাছটা ঠেসিয়া বসিয়া বলিল, “আঃ—এখান থেকে আর মেরে ফেললেও উঠুছি না। বাবা!” বিরাজ কথিত দিন আজ সমাগত । হীরালাল আজি অজ্ঞাতজনপদে বন্ধুহীন ও নিরাশ্রয়। তাহার শ্ৰান্ত প্ৰাণ আজ বিরাম স্থানের জন্য কাতর ও সুহৃদের জন্য ব্যাকুল হইয়া এক একবার গৃহাভিমুখে ছুটিতেছিল; কিন্তু গৃহিণীর প্রতি সেই নির্দয় আচরণের কথা মনে করিয়া আত্মগ্লানি ও অনুতাপের কশাঘাতে জর্জরিত হইয়া ফিরিয়া আসিতেছিল। ব্যথিত মস্তক জানুর উপরে রাখিয়া সে ভাবিতেছিল,-“পৃথিবীতে আমার মত হতভাগ্য কে আছে ? পৃথিবীর মধ্যে যে স্থানটুকুতে আমার অধিকার, সেথা ফিরে যাবার পথেও নিজে কঁাটা দিয়ে এসেছি। ংসারের অসংখ্য মানুষের মধ্যে যে আমাকে ভালবার্সে, আমার পায়ে কঁাটাটি-ফুটুলে দাঁতে ক’রে তুলে দিতে চায়,-আমার ૭ર ]