পাতা:কমলা - আশুতোষ ভট্টাচার্য্য.pdf/১৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কমলা সূৰ্য্য অন্তে যাইবার পরেও কিছুক্ষণ পশ্চিম গগনে আরক্তরাগ লক্ষিত হয়, এবং ঐশ্বৰ্য্য চলিয়া গেলেও মানুষের মনে তাহার উন্মাটা থাকিয়া যায়; অতএব যৌবন চলিয়া গেলেও বামার মনে যদি তাহার একটু গৰ্ব্ব থাকে তাহা বিচিত্র নহে। তবে অতীত যৌবন শুধুই যে তঁহার মনে একটু গৰ্ব্ব বা মত্ততা-রাখিয়া গিয়াছে, তাহা নহে। —জোয়ারের জল চলিয়া যায়, সঙ্গে করিয়া যে সকল আবৰ্জনা ভাসাইয়া আনে। সেইগুলিকে নদীর দুইকূলে ফেলিয়া যায়,-বামাসুন্দরীরও উভয়কুল-স্বামিকুল ও পিতৃকুল, র্তাহার যৌবনজলতরঙ্গে সমানীত বহুবিধা আবৰ্জনায় সমাচ্ছন্ন। প্রকৃতির কৃপণতাজন্য অভাব যে কৃত্রিমতার বদান্যতায় পূর্ণ হইবার নহে, প্রার্থীর মন তাহা বুঝিতে চাহে না ;—বামাসুন্দরীও আকৃতির বিরূপতাঁকে প্রসাধনের সহায়তায় ঢাকিয়া রাখিতে চেষ্টা করেন। দুৰ্ভাগ্যক্রমে প্রসাধনের ব্যবস্থায় হিন্দুবিধবার প্রতি শাস্ত্র ও সমাজ বড়ই কঠোর। তথাপি সে অবস্থায় যতটুকু চলিতে পারে তিনি তাহাতে ক্ৰটি করিতেন না । একটা বিষয়ে বিধাতাও বামার প্রতি বড়ই বাম ; তাহার মস্তকের মধ্যভাগে ‘সাহারা’ মরুর মত বিশাল একখানা আকৰ্ণপ্রসারী ইন্দ্রলুপ্ত। মন্তকের উভয়পার্থে ও পশ্চাদভাগে মরুভূমির তৃণের মত বিরল ও হ্রস্ব যে কয়েকগাছি কেশ ছিল সেগুলিকেও একত্ৰ করিয়া বাধা যায় না। বামা কোনরূপে তাহাতেই পরচুল জড়াইয়া একটু বড় রকমের একটি গ্ৰন্থি বাধিয়া কবরীর সাধ পূর্ণ করিয়া থাকেন। আহারাদির বিষয়েও তঁহার বাধাবাধি কোন একটা নিয়ম ছিল না। কেনারাম চুড়ামণি কমলাকে པཱ་ཇི་ বামাসুন্দরীর নিকটে রাখিয়া গিয়াছেন। বামা নিজে যেমনই হউন, কমলাকে কিন্তু খুব যত্নে রাখিয়াছেন; তাহার গায়ে কষ্টের বাতাস লাগিতে দেন না। সে কোন কাজ করিতে উদ্যত { مهلا .