পাতা:কমলা - আশুতোষ ভট্টাচার্য্য.pdf/২১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

不可司1 হইতে লাগিল, যেন সে বহুদিনের পর কারামুক্ত হইয়া গৃহে রাত্রির তৃতীয় প্রহর অতীতপ্রায়। পথে লোকের গতিবিধি নিতান্তই বিরল। কাচিৎ কোন আলোকস্তম্ভের পার্শ্বে কোন নিদ্রাতুর প্রচারী পথের উপরে দীর্ঘ ছায়া ফেলিয়া স্থাণুর মত দাড়াইয়া ছিল। সুপ্ত নগরের ঘুমঘোরের মধ্যে কাচিৎ রূচিৎ জাগরণের শব্দ ও শ্রত হইতেছিল । মাঝে মাঝে দুই একটা লোক এদিকে ওদিকে গমনাগমনও করিতেছিল। তাহাদের দেখিয়া কমলার ভয় হইতেছিল না । হরকুমার ও বামাসুন্দরী ভিন্ন বিশ্বের আর তৃতীয় প্রাণীর নিকটে যেন তাহার কোন ভয় ছিল না। বহুদূর চলিয়া আসিয়া কমলা দেখিতে পাইল, অদূরে জাহ্নবীর পুণা প্ৰবাহ জ্যোৎস্না মাখিয়া দ্রবরজািতপ্ৰবাহের ন্যায় বহিয়া চলিয়াছে । তীরে অসংখ্য সৌধরাজি, দেবমন্দির ও মসজিদ উচ্চ চুড়া উদ্ধে তুলিয়া নীরবে: অবস্থান করিতেছে! : একটা ঘাটের উপর সোপানে দাড়াইয়া সে দেখিল, প্ৰভাতের আর অধিক বিলম্ব নাই; ভাবিল, “একটু পরেই এই ঘাটে কত লোক স্নান করিতে আসিবে; তাহদের মধ্যে এমন কি কেই থাকিতে পারে না যে একটু নিরাপদ আশ্রয় দান করিতে পারে ? সুখের আশা নাই, শুধু মৃত্যুর অপেক্ষায় কোথাও থাকিয়া জীবনের বাকী কয়টা দিন কাটাইয়া দেওয়া !-বিশ্বেশ্বরের এই পুণ্যক্ষেত্রে তেমন একটু স্থান কোথাও মিলিবে না ?” । '. - এইরূপ চিন্তা, করিয়া কমলা সোপানাবলী অবতরণ করিল এবং হস্তপদাদি ধৌত করিয়া দুই তিন অঞ্জলি জল পান - করিল। উঠিয় যাইবার সময়ে তাহার, মনে হইতে লাগিল, পৃথিবীটা বুড় দুলিতেছে ও টলিতেছে,দিক্‌মক্কল্প তাহারী:চতুষ্পার্থে ঘুরিতেছে, আক্কাশের:নক্ষত্রগুলা TðÞJ